গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
নানা টানাপড়েন, মতানৈক্য এবং দফায় দফায় ভারতের সঙ্গে আলোচনার পর অবশেষে করতারপুর নিয়ে বড়সড় ঘোষণা করলেন করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শুক্রবার টুইট করে তিনি জানান, করতারপুরের গুরুদ্বার দরবার সাহিব দর্শনের জন্য শিখ তীর্থযাত্রীদের করিডর উদ্বোধনের দিন কোনও টাকা দিতে হবে না। শুধু তাই নয়, এ ক্ষেত্রে লাগবে না পাসপোর্টও। বৈধ পরিচয়পত্র দেখালেই হবে।
আগামী ৯ নভেম্বর উদ্বোধন হতে চলেছে করতারপুর করিডরের। এই করিডর খুলে গেলেই পঞ্জাবের গুরুদাসপুরের ডেরা বাবা নানক ধর্মীয় স্থানটির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হয়ে যাবে করতারপুরের দরবার সাহিব। এই করতারপুর করিডর নিয়েই ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের দীর্ঘদিন ধরে একটা টানাপড়েন চলছিল। সেই টানাপড়েনে আপাতত ইতি পড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে। করিডর উদ্বোধনের আগে পাক প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণায় খুশি শিখ তীর্থযাত্রীরা।
ইমরান খান বলেন, “ভারত থেকে করতারপুরে আসা শিখ তীর্থযাত্রীদের জন্য দু’টি বিষয় ছাড় দেওয়া হয়েছে। তাঁদের কোনও পাসপোর্ট লাগবে না। শুধু বৈধ পরিচয়পত্র থাকতে হবে। করতারপুর করিডর উদ্বোধনের দিন দিতে হবে না পরিদর্শনের জন্য কোনও টাকা। ১০ দিন আগে থেকে রেজিস্ট্রেশনেরও কোনও প্রয়োজন পড়বে না।”
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
আগামী ৯ নভেম্বর করতারপুর করিডর খুলে দেওয়া হবে। ১২ নভেম্বর গুরু নানকের ৫৫০তম জন্মবার্ষিকী পালিত হবে। বৃহস্পতিবারই লাহৌরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে শিখদের ১,১০০ জনের একটি দল। করতারপুরের দরবার সাহিবেই তাঁরা নানকের জন্মবার্ষিকী পালন করবেন। এমনটাই জানিয়েছেন ইভাকিউয়ি ট্রাস্ট প্রপার্টি বোর্ড (ইটিপিবি)-এর মুখপাত্র আমির হাশমি। তীর্থযাত্রীদের এই দলটির সঙ্গে থাকছে ‘গোল্ডেন পালকি’। এই পাল্কির জন্য যাতে কর ছাড় দেওয়া হয় সে ব্যাপারে ফেডারেল বোর্ড অব রেভিনিউ-এর কাছে আর্জিও জানানো হয়েছে বলে জানান হাশমি।
আরও পড়ুন: দিল্লি বিমানবন্দরে বিস্ফোরক ভর্তি ব্যাগ ঘিরে আতঙ্ক, সন্দেহ আরডিএক্স
আরও পড়ুন: ভারত, আমেরিকা-সহ হোয়াটসঅ্যাপ নজরদারির শিকার ২০টি দেশ: রিপোর্ট
করতারপুরে ভারত থেকে আসা তীর্থযাত্রীদের জন্য খাওয়া-দাওয়া, মেডিক্যাল ক্যাম্প এবং যানবাহনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে বলে ইটিপিবি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
গত অক্টোবরের শেষের দিকে এই করতারপুর নিয়েই ভারত-পাক আলোচনায় বসে। সে সময় পাকিস্তানের তরফে জানানো হয়, করতারপুরে পর্যটক ও তীর্থযাত্রীদের ফি হিসেবে দিতে হবে ২০ ডলার। পাকিস্তানের এই ঘোষণার পরই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল ভারত। এই টানাপড়েনের ফলেই গোটা প্রক্রিয়াটায় বেশ দেরি হয়ে যায়।