কেনিয়ে ওয়েস্ট এবং তাঁর স্ত্রী কিম কার্দেশিয়ান— ফাইল চিত্র।
জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর থেকেই বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল আমেরিকা। সেই আবহে এবার আসন্ন প্রেসিডেন্ট ভোটে লড়ার কথা ঘোষণা করলেন সে দেশের জনপ্রিয় র্যাপার কেনিয়ে ওয়েস্ট। রবিবার এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে তাঁর টুইট, ‘‘এ বার ঈশ্বরের উপর ভরসা রেখে আমেরিকাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুধাবন করতে হবে। আমাদের উদ্দেশ্যকে সংগঠিত করে ভবিষ্যৎ গড়ার সময় এসেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে আমি প্রার্থী হচ্ছি।’’
টুইটের সঙ্গে আমেরিকার জাতীয় পতাকা ‘স্টার অ্যান্ড স্ট্রাইপস’-এর একটি ইমোজিও দিয়েছেন কৃষ্ণাঙ্গ র্যাপ সংগীতকার ও গায়ক। অভিনেত্রী কিম কার্দাশিয়ানের স্বামী কেনিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক বলেই পরিচিত ছিলেন। কেনিয়ের এদিনের প্রার্থীপদ ঘোষণার পরেই মার্কিন প্রযুক্তিবিদ এবং গাড়ি নির্মাতা সংস্থা টেসলা মোটরসের কর্ণধার এলন মাস্ক তাঁর সমর্থনে টুইট করেন। কেনিয়ের উদ্দেশে মাস্কের বার্তা, ‘‘তোমার প্রতি আমার সমর্থন রইল।’’
আগামী ৩ নভেম্বর আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা। হোয়াইট হাউসের বর্তমান বাসিন্দা ট্রাম্পই ফের রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী। তাঁর ডেমোক্র্যাট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রাক্তন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কেনিয়ের এদিনের ঘোষণা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভোটে নতুন মাত্রা আনতে পারে বলে মনে করছে রাজনীতির কারবারিদের একাংশ। যদিও তিনি শেষ পর্যন্ত প্রার্থী হবেন কি না, সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন নেটিজেনদের অনেকেই।
আরও পড়ুন: এ কেমন প্রতিবেশী! শুধু ভারত নয়, রাশিয়া থেকে কম্বোডিয়া চিনের বিবাদ অনেকের সঙ্গে
দুই ‘মেরু’তে বিভক্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তৃতীয় প্রার্থীর চমকপ্রদ ফলের নজির তেমন নেই। ১৯৯২ সালে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ধনকুবের রস পেরো প্রায় ১৯ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছিল, প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ সিনিয়রকে হারিয়ে ডেমোক্র্যাট বিল ক্লিন্টনের হোয়াইট হাউস যাত্রার পথ প্রশস্ত করেছিলেন পেরো।
আরও পড়ুন: ১০ হাজার শয্যা, ২৫০ আইসিইউ, দিল্লিতে ১২ দিনে তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোভিড হাসপাতাল