ডেমোক্র্যাটদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিস। —ফাইল ছবি।
নির্বাচনী দৌড় থেকে গত জুলাইয়ের শেষে জো বাইডেন সরার কথা জানানোর পরে ডেমোক্র্যাটদের দিকে জনসমর্থন ক্রমে ফিরতে থাকার ইঙ্গিত মিলছে। অগস্টে ডেমোক্র্যাটদের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হ্যারিসের নির্বাচনী প্রচারের তহবিলে জমা হয়েছে ৩৬ কোটি ১০ লক্ষ আমেরিকান ডলার। সংখ্যাটা রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের তুলনায় (১৩ কোটি ডলার) প্রায় তিন গুণ। চলতি নির্বাচনী মরসুমে কোনও প্রার্থীর প্রচার তহবিলে এটিই এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ অর্থ সংগ্রহের নজির। বাইডেন সরে দাঁড়ানোর পরে এ যাবৎ কমলার তহবিলে ৬১ কোটি ৫০ লক্ষ ডলার জমা হয়েছে।
দু’মাস পরে, আগামী ৫ নভেম্বর আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই ধারা যদি বজায় থাকে, ময়দানে নামা থেকে নির্বাচন পর্যন্ত কমলার তহবিলে একশো কোটি ডলার আসতে পারে। এ পর্যন্ত তাঁর তহবিলে নগদেই ৪০ কোটি ৪০ লক্ষ ডলার জমা হয়েছে। ট্রাম্পের ২৯ কোটি ৫০ লক্ষ ডলার। একটি আমেরিকান সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে, চলতি মাসের শেষের দিকে দুই প্রার্থীর শিবিরই আর্থিক হিসাব প্রকাশ করতে পারে।
কমলার প্রচার শিবির থেকে দাবি করা হয়েছে, প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনী ইতিহাসে তৃণমূল স্তরে তহবিল সংগ্রহ করার নিরিখে গত অগস্ট ছিল সেরা। অগস্টে ৩০ লক্ষ মানুষ তহবিলে চাঁদা দিয়েছেন। যাঁদের মধ্যে ১৩ লক্ষ মানুষ প্রথম বার চাঁদা দিয়েছেন। তহবিলে অন্যতম বেশি টাকা এসেছে ৬ অগস্ট, যে দিন কমলা টিম ওয়ালজ়কে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ঘোষণা করেন।
অন্য দিকে লক্ষ করা যাচ্ছে, ক্রমশ শ্লথ হচ্ছে ট্রাম্পের তহবিলে অর্থ আসার গতি। গত জুলাইয়ের তুলনায় অগস্টে ৮৭ লক্ষ ডলার কম এসেছে তাঁর তহবিলে। আগের একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, ট্রাম্পের তহবিলে সব থেকে বেশি অর্থ আসছিল মে মাসে, তথ্য গোপনের উদ্দেশ্যে ব্যবসায়িক নথি জালিয়াতি করার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে। প্রসঙ্গত, নিউ ইয়র্কের মামলাটিতে আসন্ন নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের সাজা হবে না বলে শুক্রবারই জানিয়ে দিয়েছে।
কমলার শিবির টেলিভিশন এবং ডিজিটাল মাধ্যমে ভোটের দিন ব্যাপক প্রচার চালাতে ৩৭ কোটি ডলার বরাদ্দ রাখছে বলে খবর। নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ প্রদেশগুলিতে ৩১২টি দফতর থেকে দু’হাজার কর্মী নিয়ে সপ্তাহান্তে বিশেষ প্রচার কর্মসূচির পরিকল্পনা হয়েছে।
শক্তিশালী তহবিল নিয়েও চূড়ান্ত লড়াই যে জোরদারই হবে, তা অবশ্য কমলার শিবিরও মনে করছে।