জো বাইডেন। —ফাইল চিত্র
কোভিডে আক্রান্ত হলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। পরিস্থিতি এমনই যে, প্রচার কর্মসূচি অসম্পূর্ণ রেখেই নিভৃতবাসে যেতে হল অশীতিপর এই রাজনীতিককে। যদিও নিজের লিমোজ়িন গাড়ি থেকে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে বাইডেনকে বলতে শোনা যায়, “আমি ভাল আছি।” তার পর নিজের ‘এয়ারফোর্স ওয়ান’ উড়ানে লাস ভেগাস ছাড়েন তিনি। বিমানে ওঠার সময়ে বাইডেনের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি।
বুধবার হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়, বাইডেন কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব কারিন জাঁ পিঁয়ের বলেন, “প্রেসিডেন্ট বুস্টার ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তাঁর শরীরে সামান্য কিছু (কোভিডের) উপসর্গ দেখা গিয়েছে।”
আমেরিকার লাস ভেগাসে ডেমোক্র্যাটদের প্রচার কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন বাইডেন। ভোটারদের একটি সভায় বক্তব্য রাখার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু সেই সময়েই সভার উদ্যোক্তাদের কাছে খবর আসে যে, বাইডেন কোভিডে আক্রান্ত। হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত কয়েক দিন ডেলাওয়ারে নিজের বাসভবনে নিভৃতবাসে থাকবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। সেখান থেকেই যাবতীয় প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করবেন।
বাইডেনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক জানিয়েছেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্টের সর্দি হয়েছে। তা ছাড়া ছোটখাটো কিছু শারীরিক সমস্যার কথাও জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক। যদিও বাইডেনের শ্বাস-প্রশ্বাসের হার এবং শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে।
বাইডেনের বয়স, শারীরিক সক্ষমতা নিয়ে ডেমোক্র্যাট শিবির থেকেই নানা প্রশ্ন উঠছে। ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিভিশন বিতর্কে তাঁর অসংলগ্ন এবং অস্পষ্ট আচরণ নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠছে। ডেমোক্র্যাটদের একাংশ তাঁকে নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। এত দিন এই বিষয়ে অনড় মনোভাব দেখালেও মঙ্গলবার বাইডেন জানিয়েছেন, তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন। ইতিমধ্যেই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ঝোড়ো প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। কান ছুঁয়ে আততায়ীর গুলি বেরিয়ে যাওয়ার পর ট্রাম্প আরও বেশি করে আলোচনায় উঠে এসেছেন। এই পরিস্থিতিতে বাইডেনের কোভিড আক্রান্ত হওয়া ডেমোক্র্যাটদের প্রচার কর্মসূচিতে বিঘ্ন ঘটাল বলে মনে করা হচ্ছে।