ফাইল চিত্র।
চলতি বছরের গোড়া থেকেই উত্তপ্ত ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার সীমান্ত। যে কোনও মুহূর্তে রাশিয়া তাদের দেশে হামলা করতে পারে বলে অভিযোগ করে আসছে ইউক্রেন। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নেবেন বলে আগেই প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ইউক্রেনের স্বাধীনতা আর সার্বভৌমত্ব বজায় রাখার বিষয়টিই আজ প্রাধান্য পেল রুশ প্রেসিডন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর শীর্ষ বৈঠকে। আজ মুখোমুখি ভিডিয়ো কনফারেন্সে বসেছিলেন দুই নেতা।
আমেরিকার স্থানীয় সময় সকাল ১০.০৭-এ শুরু হয় বৈঠক। চলে দুপুর ১২.০৮ পর্যন্ত। বাইডেন ছিলেন হোয়াইট হাউসে, আর পুতিন সোচিতে, তাঁর বাসভবনে। দু’ঘণ্টার বৈঠকের শুরুটা হয় আন্তরিক ভাবেই, দুই রাষ্ট্রনেতা পরস্পরকে অভিবাদন জানান। বাইডেন বলেন, ‘‘আমি ভেবেছিলাম, জি-২০ সম্মেলনে আপনার সঙ্গে দেখা হবে। আশাকরি পরের বার যখন আমাদের দেখা হবে, সেটা আর ভিডিয়ো কনফারেন্স নয়, সশীরর সাক্ষাৎই হবে।’’ বাইডেনের কথা শুনে মুচকি হাসেন পুতিন।
কিন্তু বৈঠক যত এগিয়েছে, ততই সুর চড়িয়েছেন বাইডেন। রুশ প্রেসিডেন্টকে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ইউক্রেনে মস্কো পেশি আস্ফালন না থামালে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত আমেরিকা। পুতিন অবশ্য এই সব হুঁশিয়ারিতে বিশেষ বিচলিত হননি বলেই ক্রেমলিন সূত্রে খবর। ইউক্রেন সরকারের আশঙ্কা, আগামী বছরের গোড়াতেই তাদের উপরে হামলা চালিয়ে গোটা দেশ দখল করে নেবে মস্কো। সেই পরিস্থিতিতে ওয়াশিংটন কোনও সামরিক পদক্ষেপ করবে, নাকি শুধু আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেই থেমে থাকবে, তা স্পষ্ট হয়নি বাইডেনের কথাতেও।