অ্যামাজন কর্তা জেফ বেজোসের প্রাক্তন স্ত্রী ম্যাকেঞ্জি। তিনি একাধারে আমেরিকার জনপ্রিয় লেখিকা এবং সমাজসেবিকা। জেফের সঙ্গে বিচ্ছেদের ২ বছরের মাথায় ৫০ বছরের ম্যাকেঞ্জি ফের শিরোনামে উঠে এলেন।
এ বারও কারণ বিয়েই। তিনি ফের বিয়ে করলেন। তবে শিরোনামে আসার নেপথ্যে মূল কারণ তাঁর দ্বিতীয় স্বামী। ম্যাকেঞ্জি কোনও ধনকুবেরকে বিয়ে করেননি। বেসরকারি স্কুলের এক সাধারণ শিক্ষককে বিয়ে করেছেন তিনি।
ওই শিক্ষকের নাম ড্যান জিয়েট। তিনি যে স্কুলে পড়ান সেই স্কুলেই পড়াশোনা করেন অ্যামাজন কর্তা জেফ এবং ম্যাকেঞ্জির ৪ সন্তান। সেই সূত্রেই শিক্ষক ড্যানের সঙ্গে পরিচয় ম্যাকেঞ্জির।
সম্প্রতি তাঁদের বিয়ের খবর নিজেই পোস্ট করে জানিয়েছেন ম্যাকেঞ্জি। তবে তাঁদের বিয়ের তারিখ নিশ্চিত করে জানাননি। বিয়ের খবর পেয়ে অ্যামাজনের মুখপাত্রের মাধ্যমে নবদম্পতিকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন জেফ।
ওয়াশিংটনের লেকসাইড স্কুলের রসায়ন বিদ্যা পড়ান ড্যান। ওয়াশিংটনের খুব নামজাদা স্কুল এটি। এই স্কুলের প্রাক্তনী বিল গেটসও।
বিশ্বের প্রথম সারির ধনকুবের এবং প্রভাবশালী মহিলাদের মধ্যে ম্যাকেঞ্জি অন্যতম। ৬ মার্চ ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী ম্যাকেঞ্জির সম্পত্তির পরিমাণ ৫ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার। কিন্তু নিজের সম্পত্তির অর্ধেক সেবামূলক কাজে দান করার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তিনি।
গত ডিসেম্বরে তিনি শতাধিক সংস্থায় ৪১০ কোটি ডলার দান করেছিলেন কোভিড ১৯ অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য।
তারও আগে ২০২০ সালের জুলাইয়ে ১১৬টি অলাভজনক সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সংস্থা মিলিয়ে ১৬৮ কোটি ডলার দান করেছিলেন তিনি।
অ্যামাজন কর্তা জেফের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি তাঁর অর্থ থেকে অনুদান দিয়েই অন্যদের সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এই নিয়ে ‘দ্য গিভিং প্লেজ’ নামে একটি প্রচারেও যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
এই সাইটটি তৈরি করেছিলেন বিল গেটস, মেলিন্ডা গেটস এবং ওয়ারেন বাফে। উদ্দেশ্য জনহিতকর কাজ করা। বিশ্বের সমস্ত ইচ্ছুক ধনকুবের এতে যোগ দিয়ে নিজেদের সম্পত্তির অংশ থেকে জনহিতকর কাজে দান করে থাকেন।
এতে ম্যাকেঞ্জি বেজোস, মার্ক জাকারবার্গও যোগ দিয়েছেন। অ্যামাজন কর্তা জেফ এখনও এতে যোগ দেননি তবে তিনিও জনহিতকর কাজ করে থাকেন।
জেফের সঙ্গে ম্যাকেঞ্জি ২৫ বছর দাম্পত্য জীবন কাটিয়েছেন। ২০১৯ সালে জেফের সঙ্গে লরেন সাঞ্চেজ নামে এক মহিলার ঘনিষ্ঠতার খবর সামনে আসার পর পরই তাঁদের বিচ্ছেদ হয়।
বিচ্ছেদের পর নিজের সম্পত্তির বেশিরভাগটাই দান করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ম্যাকেঞ্জি। জেফ এবং ম্যাকেঞ্জির বিচ্ছেদ ছিল বিশ্বের সবচেয়ে দামি বিচ্ছেদ।
বিচ্ছেদের পর অ্যামাজনের ৪ শতাংশ শেয়ারের মালিক হন ম্যাকেঞ্জি। যার মূল্য ছিল সে সময় ৩৫০০ কোটি ডলার।
অতিমারির সময়ে অ্যামাজনের শেয়ারের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাঁর সম্পত্তির পরিমাণও আরও বেড়ে গিয়ে গিয়েছে। এখন তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৫ পাজার ৩৫০ কোটি ডলার।