Vaccine

৭ দিনের সফরেও প্রাপ্তি পাঁচ লক্ষ ডোজ়!

জো বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে, মোট ৮ কোটি ডোজ় প্রতিষেধক তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠাবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২১ ০৬:১৭
Share:

চলছে কোভিডের টিকাকরণ। বৃহস্পতিবার গ্রিসের লেসবস দ্বীপের একটি শরণার্থী শিবিরে। ছবি: রয়টার্স।

বিদেশ থেকে প্রতিষেধকের জোগান বাড়াতে সবরকম ভাবে চেষ্টা করছে ভারত। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আমেরিকা থেকে সাত দিনের সফর সেরে ফিরে আসার পরে আজ বিদেশ মন্ত্রকের প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়েছে। তবে এ দিনই রাতে টিকা বণ্টন সম্পর্কে জো বাইডেন প্রশাসনের এক বিবৃতির পরে প্রশ্ন উঠছে, বিশেষ কি কোনও কাজ হল জয়শঙ্করের সফরে? প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট টিকা কি ভারতকে পাঠাবে আমেরিকা?

Advertisement

কী বলা হয়েছে আমেরিকার এই বিবৃতিতে?

জো বাইডেন প্রশাসন জানিয়েছে, মোট ৮ কোটি ডোজ় প্রতিষেধক তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠাবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার মধ্যে প্রথমেই পাঠানো হবে আড়াই কোটি ডোজ়। বিবৃতিতে বিশদে বলা হয়েছে, কোন অঞ্চলে কত ডোজ় টিকা পাঠানো হবে। বলা হয়েছে, এশিয়ার ১৬টি দেশকে প্রথম দফায় পাঠানো হচ্ছে, ৭০ লক্ষ ডোজ়। তার মধ্যে রয়েছে ভারতও। ভারত ছাড়া যে দেশগুলিকে এই ৭০ লক্ষ ডোজ়ের গণনায় রাখা হয়েছে তারা হল— নেপাল, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, মলদ্বীপ, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, তাইল্যান্ড, লাওস, পাপুয়া নিউ গিনি, তাইওয়ান এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ। কোন দেশকে কত টিকা দেওয়া হবে তা স্পষ্ট ভাবে বলা না হলেও কূটনীতিকেরা বলছেন, ১৬টি দেশের মধ্যে ৭০ লক্ষ ডোজ় টিকা বণ্টন হলে ভারতের ভাগ্যে সাড়ে চার-পাঁচ লক্ষ ডোজ়ের বেশি জুটবে বলে মনে হয় না।

Advertisement

বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচীর বক্তব্য, “বাইরে থেকে রফতানি করে হোক বা দেশের মধ্যে উৎপাদন বাড়িয়ে, ভারত সরকার প্রতিষেধকের জোগান বাড়াতে সবরকম ভাবে প্রয়াস করছে। আমরা ফাইজ়ার, জনসন অ্যান্ড জনসন এবং মডার্না-র মতো আমেরিকার টিকা উৎপাদক সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।” তাঁর কথায়, “ভারতে টিকা উৎপাদন বাড়ানোর জন্য তার কাঁচামাল জোগানের দিকটি নিয়ে আমেরিকার প্রশাসনের সঙ্গে লেগে রয়েছি আমরা। বিদেশমন্ত্রীর সাম্প্রতিক আমেরিকা সফরে এই বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। প্রতিষেধক উৎপাদনের প্রয়াসকে বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে অতিমারির মোকাবিলা করায় আমাদের সবার স্বার্থ জড়িত।”

বৃহস্পতিবার রাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করেছিলেন আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। হ্যারিসকে দিয়ে ফোন করিয়ে টিকা-দৌত্যের এই ফলাফলে হতাশ সাউথ ব্লকের ক্ষতে মলম দেওয়ার চেষ্টা হল কিনা, এখন এই প্রশ্ন উঠছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement