—প্রতীকী ছবি।
উত্তর-পূর্ব ইরাকের হামরিন পর্বতে ‘ইসলামিক স্টেট’ (আইএস)-এর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক সেনা অভিযান শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেই অভিযানে আইএসের শীর্ষ কমান্ডার জ়াসিম আল-মাজ়ৌরি আবু আব্দুল কাদের নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানিকে উদ্ধৃত করে এ কথা জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
প্রায় এক দশক ধরে ইরাকে আইএসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে সে দেশের সরকার। সঙ্গী আমেরিকা এবং মিত্র দেশগুলি। ইরাকের পড়শি একদা ইরাকি ভূখণ্ডের এক-তৃতীয়াংশের বেশি নিয়ন্ত্রণ করলেও বর্তমানে অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে তারা। ইরাক-তুরস্ক সীমান্তে আঙ্কারার মদতপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘হায়াত তাহরির আল-শাম’-এর হামলাতেও বেশ কয়েক জন আইএস নেতা নিহত হয়েছেন গত কয়েক বছরে।
এই পরিস্থিতিতে দুর্গম হামরিন পর্বতে আইএসের সবচেয়ে বড় ঘাঁটিতে গদত সপ্তাহ থেকে অভিযান শুরু করেছে ইরাকি সেনা। আমেরিকা সেনার সেন্ট্রাল কমান্ড জানিয়েছে, নিহত কাদের ইরাকে আইএস বাহিনীর প্রধান ছিলেন। তাঁর সঙ্গে অন্তত আট জন আইএস যোদ্ধাও নিহত হয়েছেন সংঘর্ষে। ২০২৫ সালে ওই এলাকাতেই আমেরিকার বিমান হামলায় ইরাকের আইএস কমান্ডার ফাদহিল আহমেদ আল-হায়ালি নিহত হয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে আমেরিকা সেনার অভিযানে আইএসের প্রতিষ্ঠাতা তথা তাদের সর্বোচ্চ নেতা আবু বকর আল-বাগদাদির মৃত্যু হয়েছিল। তার পর সংগঠনের ভার পেয়েছিলেন ৪৫ বছরের শিক্ষাবিদ আবু ইব্রাহিম। এক সময়ে ইরাকের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেনের সেনা বাহিনীর সদস্যও ছিলেন তিনি। ইব্রাহিমের সময়ই তাঁর ‘ডানহাত’ হয়ে উঠেছিলেন হাশেমি। চলতি বছরের মে মাসে তুরস্কের ইস্তানবুলে হাশেমি গ্রেফতার হয়েছিলেন বলে ‘খবর’ মিলেছিল। এর পরে আবু আল-হাসান আল-হাশেমি আল-কুরেশির মতো আইএস প্রধান আমেরিকা সেনার অভিযানে মারা যান। তুরস্কের মদতপুষ্ট ‘হায়াত তাহরির আল-শাম’ যোদ্ধাদের হামলায় ২০২৩-এর জুলাইয়ে মৃত্যু হয় তৎকালীন আইএস প্রধান আবু আল-হুসেন আল-হাশেমি আল-কুরেশির।