মেইজি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামজবিদ্যার সহকারী অধ্যাপক আসাও নাইতো ভাইস নিউজ-কে জানিয়েছেন, এক স্কুল থেকে আর এক স্কুলে এই নিয়মগুলির পরিবর্তন হয়। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই নিয়মগুলি চলতে থাকে।
প্রতীকী ছবি।
মেয়েরা স্কুলে ঝুঁটি (পনিটেল) বেঁধে আসতে পারবে না। ঝুঁটি নাকি ছাত্রদের ‘যৌন উত্তজেনা’ বাড়ায়! এমনই দাবি করে মেয়েদের ঝুঁটি বাঁধা নিষিদ্ধ করা হল জাপানের স্কুলগুলিতে।
ভাইস ওয়ার্ল্ড নিউজ-এর এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এ রকম অদ্ভুত অদ্ভুত সব নিষেধাজ্ঞার জন্য কুখ্যাত জাপানের স্কুলগুলি। মোজার আকার কতটা হওয়া উচিত, অন্তর্বাসের রং-সহ নানাবিধ নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয় স্কুলপড়ুয়াদের উপর।
একটি স্কুলের শিক্ষকের বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে ভাইস ওয়ার্ল্ড নিউজ জানিয়েছে, স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁকে বলেছিলেন, মেয়েদের ঘাড় অনাবৃত রাখা যাবে না। অনাবৃত থাকলে ছেলেদের নজর যাবে সেখানে এবং তাতে ‘যৌন উত্তেজনা’ বাড়বে। এর পরই মেয়েদের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়। যা তারা মেনে নিতে বাধ্য হয়েছিল। ২০২০-র একটি সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, ফুকুয়োকায় প্রতি ১০টি স্কুলের মধ্যে একটিতে ঝুঁটি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কখনও দেখা গিয়েছে কোনও স্কুলে মেয়েদের ‘বব হেয়ারকাট’-এ অনুমতি দেওয়া হয়েছে, সে ক্ষেত্রে ঘাড় দেখা গেলেও নিষিদ্ধ করা হয়নি। আবার কখনও ‘আন্ডারকাট’কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ রকম অদ্ভুত নিদানের কোনও ব্যাখ্যা খুঁজে পান না পড়ুয়ারা।
মেইজি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামজবিদ্যার সহকারী অধ্যাপক আসাও নাইতো ভাইস নিউজ-কে জানিয়েছেন, এক স্কুল থেকে আর এক স্কুলে এই নিয়মগুলির পরিবর্তন হয়। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এই নিয়মগুলি চলতে থাকে। অনেকটা উত্তর কোরিয়ার মতো। গত বছরেই উত্তর কোরিয়ায় আঁটসাঁট জিন্স পরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন কিম জং উন। চুল কাটার ধরনের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।