ইভাঙ্কা ট্রাম্প।এএফপি।
শরণার্থী শিশুদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার খবর শুনে বিচলিত হয়েছিলেন ইভাঙ্কা ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে থাকাকালীন সেই খবর পাওয়াটা সব চেয়ে ‘খারাপ অভিজ্ঞতা’ বলে কাল জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের কন্যা।
এক অনুষ্ঠানে ইভাঙ্কা বলেছেন, ‘‘ওই ঘটনায় আমার খুব খারাপ লেগেছিল।’’ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘জ়িরো টলারেন্স’ নীতি কার্যকর হওয়ার পরে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয় বিশ্ব জুড়ে। চাপের মুখে সে নীতি থেকে সরে আসতে বাধ্য হন ট্রাম্প। পরিবারের সঙ্গে শরণার্থী শিশুকে রাখার জন্য সই করেন এক প্রশাসনিক নির্দেশে। শরণার্থী শিশুদের বাবা-মায়ের কাছে ফেরাতে গত সপ্তাহে আদালতের দেওয়া সময়সীমা ফুরিয়েছে। তা সত্ত্বেও প্রতি তিন জন শিশুতে এক জন এখনও বাবা-মায়ের কাছ থেকে।
শিশুদের সেই যন্ত্রণা বোঝেন ইভাঙ্কা। এমন দাবি করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমি একজন অভিবাসীর মেয়ে। আমার মা কমিউনিস্ট চেক প্রজাতন্ত্রে বড় হয়েছিলেন। কিন্তু আমেরিকা আইন মেনে চলে। আমার মা এ দেশে বৈধ ভাবে ঢুকতে পেরেছিলেন। এ দেশে এখন কোনও শিশু ঢোকার পরে আমাদের অসম্ভব সতর্ক থাকতে হয়। ওরা যেন পাচার না হয়ে যায়।’’
এখন এত কথা ইভাঙ্কা বলছেন ঠিকই। তবে গত জুনে বিচ্ছিন্ন শিশুদের সঙ্কটের ছবি, গল্প প্রকাশ্যে এলেও মুখ খুলতে দেখা যায়নি তাঁকে। হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ট্রাম্প-কন্যা বিষয়টি নিয়ে তাঁর বাবার সঙ্গে কথা বলেছেন। প্রেসিডেন্ট তখনও প্রশাসনিক নির্দেশে সই করেননি। শিশুদের বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার এই প্রক্রিয়ায় মার্কিন সরকার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাহায্য চেয়েছে। কাল আদালতে তারা জানিয়েছে, যে ৪০০ বাবা-মা মেক্সিকো সীমান্তে শিশুদের থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরে আমেরিকা তাঁদের নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে, তাঁদের খুঁজে বার করতে আসুক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলি।