ল্যাম্বরগিনির যে মডেলের গাড়ি নিয়ে রোগীদের কাছে কিডনি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে, মঙ্গলবার ইনস্টাগ্রামে নিজেদের অ্যাকাউন্টে তার ছবি পোস্ট করেছেন ইটালীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষ। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
বড়দিন আসতে আর মোটে ক’দিন বাকি। তবে তার আগেই বড়দিনের উপহার হিসাবে ‘প্রাণ’ পেলেন দুই রোগী। সান্টা ক্লজ় নন, তাঁদের ত্রাতা হয়ে দাঁড়ালেন ল্যাম্বরঘিনি গাড়িতে সওয়ার ইটালির পুলিশ আধিকারিকেরা। ওই রোগীদের জন্য ইটালির এক শহর থেকে অন্য শহরে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে কিডনি পৌঁছে দিলেন তাঁরা। এই কীর্তিতে সমাজমাধ্যমের বাহবা কুড়োচ্ছে ইটালির পুলিশ।
মঙ্গলবার এই কীর্তির কথা ইনস্টাগ্রামে নিজেদের অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন ইটালীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষ। তাঁরা লিখেছেন, ‘‘মোটরওয়ে দিয়ে সফর করছি। সঙ্গে রয়েছে বড়দিনের সুন্দর উপহার, ‘প্রাণ’!’’ বিশেষ ভাবে তৈরি যে ল্যাম্বরঘিনিতে তাঁরা রোগীদের কাছে কিডনিগুলি পৌঁছে দিয়েছেন, ওই পোস্টে তারও ছবি দিয়েছেন। পুলিশের এই বিশেষ উদ্যোগেই জেরেই যে দু’জন রোগী জীবন পেয়েছেন, তা-ও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ল্যাম্বরঘিনির যে মডেলের গা়ড়ি নিয়ে ওই দীর্ঘ সফর করেছে পুলিশ, সে হুরাক্যানের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার। তবে শূন্য থেকে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতি তুলতে মোটে ৩.২ সেকেন্ড সময় নেয় এই বিলাসবহুল সুপারকার। বস্তুত, শহরে নজরদারি চালানো-সহ আপৎকালীন ভিত্তিতে রক্ত এবং অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য তা পৌঁছে দেওয়ার কাজে ব্যবহারের কাজে এই সুপারকারকে উপহার দিয়েছে গাড়ি প্রস্ততকারী সংস্থাটি।
ইটালীয় পুলিশ জানিয়েছে, ল্যাম্বরঘিনি হুরাক্যানে চেপে উত্তর-পূর্ব ইটালির পাদুয়া থেকে প্রথমে মদেনার হাসপাতালে কিডনি নিয়ে যান তাদের আধিকারিকেরা। এর পর সেখান থেকে পৌঁছন রোমে। মাঝে অবশ্য পেট্রল ভরার জন্য উত্তরাঞ্চলের বোলোনা শহরের জাতীয় সড়কে থেমেছিলেন তাঁরা। তবে শেষমেশ ৪৯১ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে পৌঁছেছেন গন্তব্যে।