ইমরান খান। —ফাইল চিত্র।
ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)-এর বেঁধে দেওয়া শর্তগুলো পূরণ করতে না পারলে আরও বিপদে পড়বে পাকিস্তান। শনিবার এমন সতর্কবার্তাই দিলেন স্টেট ফর সাউথ অ্যান্ড সেন্ট্রাল এশিয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অ্যালিস ওয়েলস। ওয়াশিংটনে সাংবাদিক বৈঠকে এ প্রসঙ্গে ওয়েলস বলেন, “পাকিস্তান এফএটিএফ-এর শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হলে শুধু কালো তালিকাভুক্ত হবে এমনটা নয়, সে দেশের অর্থনীতির উপরও যথেষ্ট প্রভাব প়ড়বে। বিদেশি বিনিয়োগ হারাবে পাকিস্তান।”
শুক্রবারই পাক বিদেশমন্ত্রী মাহমুদ কুরেশি দাবি করেছিলেন, ধূসর তালিকা থেকে পাকিস্তানের নাম সরিয়ে দেওয়া উচিত এফএটিএফ-এর। কারণ তাদের দেওয়া শর্ত ঠিক মতো পালন করছে পাকিস্তান। এ ব্যাপারে যথেষ্ট অগ্রণী ভূমিকাও নিয়েছে তারা। পাক বিদেশমন্ত্রীর এই দাবির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওয়েলসের এই বার্তা পাকিস্তানের উপর আরও চাপ বাড়াল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সদ্য ইসলামাবাদ সফর থেকে ফিরেছেন ওয়েলস। তাঁকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন পাকিস্তান যদি এফএটিএফ-এর নিয়ম পালনে ব্যর্থ হয় তা হলে কি আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (আইএমএফ)-এর সহযোগিতা বন্ধ হয়ে যাবে? এ প্রসঙ্গে ওয়েলস বলেন, “বেজিংয়ে এ ব্যাপারে বৈঠক চলছে। সন্ত্রাস নিয়ে পাকিস্তান কী পদক্ষেপ করেছে, টাস্ক ফোর্সকে জানিয়েছে তারা। কিন্তু তারা এ ব্যাপারে কতটা এগিয়েছে বা নিয়ম কতটা পালন করতে পেরেছে তা খতিয়ে দেখার পরই সব কিছু বিবেচনা করা হবে।”
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে বন্দি নেতাদের ছেড়ে দেওয়া হোক, ভারতের উপর চাপ বাড়িয়ে বলল আমেরিকা
আরও পড়ুন: পাকিস্তান ও বাংলোদেশি মুসলিমদের দেশ থেকে তাড়ানো উচিত, সামনায় শিবসেনার মন্তব্যে বিতর্ক
২০১৯-এর অক্টোবরে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও তাদের দেওয়া শর্ত পূরণ করতে পারেনি পাকিস্তান। ফলে তাদের ধূসর তালিকাতেই রেখে দিয়েছিল এফএটিএফ। সেই সঙ্গে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল, ২০২০-র এপ্রিলের মধ্যে সব শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হলে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীকে অর্থ সাহায্য করা, সন্ত্রাসে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। তার পরই তাদের ধূসর তালিকাভুক্ত করে এফএটিএফ।