ফাইল চিত্র।
পারিবারিক অর্ন্তদ্বন্দ্ব নাকি অন্য কোনও কারণ? কেন স্ত্রী, পুত্রকে নিয়ে ব্রিটেনের রাজপরিবার ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন রাজপুত্র হ্যারি? কখনও হ্যারির টুকরো টুকরো কথায় আবার কখনও ওপরা উইনফ্রের শোয়ে হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগান মর্কেলের দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে নানা কারণ ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে এসেছে। মার্চে ওপরার শোয়ে মেগানের সেই সাক্ষাৎকারের পরে আর এক বার ফের মুখ খুললেন হ্যারি।
সম্প্রতি এক পডকাস্ট সাক্ষাৎকারে জানালেন, রাজপুত্র হয়ে উঠতে গিয়ে এক অদ্ভুত মানসিক যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে তাঁকে যেতে হয়েছে। একটা সময়ের পর হ্যারি বুঝেছেন, তাঁর বাবাও এই কষ্ট আর যন্ত্রণা সয়েই বড় হয়েছেন। কিন্তু যন্ত্রণা ও কষ্টের সেই ‘জেনেটিক উত্তরাধিকারের চক্র’ ভাঙতে সব ছেড়ে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত।
গত বছর জানুয়ারিতে রাজ পরিবারের দায়িত্ব ছেড়ে লস অ্যাঞ্জেলেসে সংসার পেতেছেন হ্যারি ও মেগান। সম্প্রতি ওপরার শোয়ে কৃষ্ণাঙ্গ মায়ের কন্যা মেগান বলেছিলেন, আর্চির জন্মের আগে ছেলের গায়ের রং কতটা কালো হতে পারে, রাজপরিবারে তাঁর কানে এসেছিল সেই আলোচনাও। প্রচণ্ড মানসিক চাপে এক সময় অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন তিনি। হ্যারি এ দিনের শোয়ে জানিয়েছেন, স্ত্রীর ওই অবস্থায় অবর্ণনীয় ভাবে অসহায় বোধ করেছিলেন তিনি। যুদ্ধদীর্ণ আফগানিস্তানে হেলিকপ্টারে চেপে যখন ঘুরছিলেন, তখন ঠিক এই রকম অসহায় মনে হয়েছিল নিজেকে। আর এক বার একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাঁর। ছোটবেলায় মা ডায়ানার সঙ্গে গাড়িতে যাওয়ার সময়ে এক বার তাঁদের ধাওয়া করেছিল ছবিশিকারী পাপারাৎজিরা। তিনি জানিয়েছেন, রাজপুত্র হিসেবে নিজে যে কষ্ট অনুভব করেছেন, তাঁর সন্তানেরা যাতে সেই যন্ত্রণার আঁচ না পায়, সেই কারণেই ব্রিটেন ছেড়ে আসার সিদ্ধান্ত।