Israel-Hamas Conflict

ইজ়রায়েলে মন্ত্রিসভায় তরজা, বাতিল বৈঠক

শুক্রবারের বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল হামাস-ইজ়রায়েল যুদ্ধের পরবর্তী পরিকল্পনা করা। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, হালেভির প্রস্তাবের বিরুদ্ধে প্রথম আপত্তি জানান পরিবহন মন্ত্রী মিরি রেগেভ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

তেল আভিভ শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৪ ০৭:২০
Share:

ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। —ফাইল চিত্র।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর কেন হামাসের হামলা সামলাতে পারেনি ইজ়রায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই নিয়ে তদন্ত কমিটি তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিলেন ইজ়রায়েল ডিফেন্স ফোর্স তথা আইডিএফের চিফ অব স্টাফ হেরজ়ি হালেভি। কমিটিতে কাদের রাখা হবে তার একটি তালিকাও পেশ করেছিলেন। তার পরেই ঘটল ‘বিস্ফোরণ’, অর্থাৎ হালেভির পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করে তাঁকে আক্রমণ করলেন বেশ কয়েক জন মন্ত্রী, তাঁর মধ্যে রয়েছে ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নিজের লিকুদ পার্টির সদস্যরাও। তর্কাতর্কি ও তরজা এমন পর্যায়ে গেল যে মধ্যরাতের ঘণ্টা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই তা বন্ধ করতে হল নেতানিয়াহুকে।

Advertisement

শুক্রবারের এই তরজার খবরে ফের প্রকট হয়ে গিয়েছে প্রশাসনের সঙ্গে সেনার বিরোধের জায়গাটা। প্রশ্ন উঠছে, তবে কি তিন মাস ধরে চলা এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে চাপে রয়েছে ইজ়রায়েলও।

শুক্রবারের বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য ছিল হামাস-ইজ়রায়েল যুদ্ধের পরবর্তী পরিকল্পনা করা। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, হালেভির প্রস্তাবের বিরুদ্ধে প্রথম আপত্তি জানান পরিবহন মন্ত্রী মিরি রেগেভ। তাঁর সঙ্গে যোগ দেন জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী বেন গাভির, অর্থমন্ত্রী বেজ়ালেল স্মোট্রিক ও আঞ্চলিক সহযোগিতা মন্ত্রী ডেভিড আমসালেম। তাঁদের প্রশ্ন ছিল, এখনই তদন্ত কমিটির দিকে মন দিচ্ছেন কেন হালেভি। তবে কি যুদ্ধ জয়ের দিকে একেবারেই মন নেই? কমিটির তালিকায় রাখা প্রাক্তন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শল মোফাজ়ের নাম দেখেও তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন বেশ কয়েক জন। ২০০৫ সালে গাজ়া ভূখণ্ড থেকে ইজ়রায়েলি বাহিনীর সরে আসার সময় চিফ অব স্টাফ ছিলেন মোফাজ়। তখন থেকেই মোফাজ়ের দর কমেছে নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভার কাছে।

Advertisement

বৈঠকে হালেভির পক্ষ নেন বর্তমান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। তিনি বলেন, হালেভির প্রস্তাবে তাঁর সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। পাল্টা রেগেভ বলেন, সেনার বিরুদ্ধে তাঁদের বহু অভিযোগ রয়েছে, স্রেফ যুদ্ধের জন্যই তাঁরা চুপ রয়েছেন। কথা কাটাকাটি তখন চিৎকারের পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। তিন ঘণ্টার পুরো তরজায় আশ্চর্যজনক ভাবে চুপ ছিলেন নেতানিয়াহু। একেবারে শেষে হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে দেখে বৈঠক বন্ধ করেন তিনি।

শুক্রবারের এই তরজার খবর ফাঁস হতেই সরব হয়েছে নেতানিয়াহুর বিরোধীরা। বিরোধী দলের নেতা ইয়ের লাপিডের মতে, এই তরজাই প্রমাণ সরকার বদলের সময় হয়েছে। সেনার লড়াইকে ন্যূনতম সম্মান দিচ্ছে না বর্তমান সরকার। একই কথা শোনা গিয়েছে লেবার পার্টির প্রধান মেরাভ মিখাইলির কথাতেও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement