গাজ়ায় ইজ়রায়েল বাহিনীর হামলা। ছবি: রয়টার্স।
হামাসের হাতে বন্দিদের উদ্ধার করতে গিয়ে ভুল করে তাঁদেরই কয়েক জনকে গুলি করে মারল ইজ়রায়েল বাহিনী। এই ভুলের কারণেই তিন ইজ়রায়েলির মৃত্যু হয়েছে বলে ইজ়রায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইএফ) তাদের এক্স হ্যান্ডলে জনিয়েছে। গাজ়ার উত্তর ভাগ পুরোটাই ইজ়রায়েল বাহিনী দখলে। ধীরে ধীরে তারা দক্ষিণ ভাগের দিকেও ঢোকার চেষ্টা করছে। সেই দক্ষিণ ভাগেরই একটি এলাকায় শনিবার অভিযান চালাচ্ছিল আইডিএফ। সেখানে পণবন্দিদের লুকিয়ে রাখার খবর পেয়েছিল তারা। তার পরই অভিযান চালায়। কিন্তু সেই পণবন্দিদের ভুল করে হামাসের সদস্য ভেবেছিল ইজ়রায়েলি সেনা। আর সেই ভুলই নিরস্ত্র পণবন্দিদের প্রাণ কেড়ে নিল।
ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই ঘটনাটিকে একটি দুর্ঘটনা বলে বর্ণনা করেছেন। পাশাপাশি, তিন নাগরিকের মৃত্যুর জন্য দুঃখপ্রকাশ করে বলেছেন, ‘‘এটি অপূরণীয় ক্ষতি।” কয়েক দিন আগে হামাস হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, সামরিক অভিযান না বন্ধ করলে পণবন্দিদের মাসুল দিতে হবে। হামাসের সেই হুঁশিয়ারিকে চ্যালেঞ্জ করে পণবন্দিদের উদ্ধারে গিয়েছিল ইজ়রায়েলি সেনা। কিন্তু তাঁদের ভুলেই তিন পণবন্দির মৃত্যু হল। বন্দিদের মুক্তির জন্য ইতিমধ্যেই ইজ়রায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের প্রধান ডেভিড বার্নিয়াকে দোহায় পাঠিয়েছেন নেতানিয়াহু। কাতারে প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থেনির সঙ্গে এ বিষয়ে আলেচনা হতে পারে বলে এক্সিওস-এর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
আইডিএফ তাদের এক্স হ্যান্ডলে জানিয়েছে, তিন পণবন্দিকে ভুল করে হত্যার যে ঘটনা ঘটেছে, এ রকম ঘটনা যাতে আর না ঘটে, তার জন্য বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে সতর্ক করা হয়েছে। ইজ়রায়েলির সেনার মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি জানিয়েছেন, যে তিন পণবন্দির মৃত্যু হয়েছে, মনে করা হচ্ছে, তাঁরা হামাসের হাত থেকে পালিয়ে এসেছিলেন অথবা, হামাসই তাঁদের ফেলে রেখে পালিয়েছিল। তা হলে কি এ বার পণবন্দিদের এ ভাবেই ঢাল করে ইজ়রায়েলি বাহিনীকে প্যাঁচে ফেলতে চাইছে হামাস? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। কারণ, এর আগে গাজ়ায় ইজ়রায়েলের বিমানহামলায় বেশ কয়েক জন পণবন্দির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছিল হামাস। যে ঘটনায় ইজ়রায়েলের অন্দরেই নেতানিয়াহু এবং সেনার বিরুদ্ধে ক্ষোভ এবং অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। আবার সেই একই ভুলের কারণে তিন পণবন্দির মৃত্যু বড় প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিল।