ইজ়রায়েলের দেওয়া ভিডিয়োতে অধুনা নিহত হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। ছবি: সংগৃহীত।
মাটির নীচের সুড়ঙ্গ। তবে খুব একটা অন্ধকার নয়। দেখলেই বোঝা যায়, সুড়ঙ্গ দিয়ে লোকজন যাতায়াত করেন। সেখান দিয়েই হেঁটে যাচ্ছেন হামাস প্রধান ইয়াহিসা সিনওয়ার। সঙ্গে যাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী এবং পুত্রেরা। সিনওয়ার হত্যার পর এমনই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করল ইজ়রায়েল। তাদের দাবি, ওই ভিডিয়োটি ২০২৩ সালের ৬ অক্টোবরের। ঠিক যার পরের দিনই শুরু হয়েছিল ইজ়রায়েল বনাম হামাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। এখনও যা চলছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইজ়রায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ। বহু ইজ়রায়েলি নাগরিক তাদের হাতে বন্দি হয়েছিলেন। পণবন্দি করে তাঁদের নিয়ে গিয়েছিল হামাস। এর পরেই ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। এই গোষ্ঠীকে নির্মূল না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন বলেও জানান। বছর ঘুরে গিয়েছে। এখনও যুদ্ধ চলছে পশ্চিম এশিয়ায়।
ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুর পর গত অগস্টে প্যালেস্টাইনি গোষ্ঠীর প্রধানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন সিনওয়ার। সম্প্রতি ইজ়রায়েলি সেনার হামলায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। সিনওয়ারের মৃত্যুর পর ইজ়রায়েলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র নাদাভ শোশানি ৬ অক্টোবরের ভিডিয়োটি প্রকাশ করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, মাটির নীচের সুড়ঙ্গ দিয়ে প্রথমে হেঁটে এসেছে দুই বালক। তারা সিনওয়ারের পুত্র বলে দাবি। এর পরে এসেছেন সিনওয়ার নিজে। তাঁর হাতে বেশ কিছু জিনিসপত্রের ব্যাগ ছিল। তাঁর পরে সুড়ঙ্গ দিয়ে আসেন এক মহিলা, যিনি সিনওয়ারের স্ত্রী বলে দাবি। (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।)
ইজ়রায়েলি সেনার দাবি, ৭ অক্টোবরের হামলার আগে পরিবার নিয়ে সুড়ঙ্গ দিয়ে মাটির নীচের আস্তানায় চলে গিয়েছিলেন সিনওয়ার। সেই সময়কার ভিডিয়ো প্রকাশিত হয়েছে। ভিডিয়োর সঙ্গে লেখা হয়েছে, ‘‘৭ অক্টোবরের ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে সিনওয়ার— নাগরিকদের আড়ালে নিজে লুকিয়ে পড়ছেন, টিভি সুড়ঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন, তাঁর জঙ্গিদের মানুষ মারতে, অপহরণ করতে এবং ধর্ষণ করতে দেখবেন বলে।’’
১৭ অক্টোবর গাজ়ার একটি ভবনে ইজ়রায়েলি সেনার হামলায় সিনওয়ারের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইজ়রায়েল। তাঁর মাথায় গুলি করা হয়েছিল। তার পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য আঙুলও কেটে নিয়ে গিয়েছিল ইজ়রায়েলি সেনা। সিনওয়ারের মৃত্যুর পর নেতৃত্ব সঙ্কটে ভুগছে হামাস।