নিহত হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। ছবি: রয়টার্স।
প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নতুন প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ারের মৃত্যু হয়েছে ইজ়রায়েলের হানায়। সম্প্রতি সে কথা জানিয়েছে ইজ়রায়েলের বিদেশ মন্ত্রক। এ বার ময়নাতদন্তে উঠে এল আরও তথ্য। কী ভাবে সিনওয়ারকে মারা হয়েছে? বিশদে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। সিএনএন-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মাথায় গুলি করে হামাস প্রধানকে হত্যা করা হয়। পরে তাঁর ডান হাতের একটি আঙুলও কেটে নেওয়া হয়।
সিনওয়ারের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। বৃহস্পতিবার গাজ়ার একটি ভবনে ঢুকে হামলা চালিয়েছিল ইজ়রায়েলি সেনা। সেই হামলায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা যায়। প্রথম থেকেই দাবি করা হচ্ছিল, নিহত তিন জনের মধ্যে রয়েছেন হামাস প্রধান সিনওয়ারও। ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুর পর গত অগস্টে প্যালেস্টাইনি গোষ্ঠীর প্রধানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। পরে তিন মৃতদেহের ডিএনএ পরীক্ষা করে সিনওয়ারের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয় ইজ়রায়েলের তরফে।
ময়নাতদন্তকারী এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন থাকলেও মাথায় গুলি লাগার কারণেই সিনওয়ারের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মাথার খুলির একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এ ছাড়া, ট্যাঙ্ক শেলের আঘাতেও গুরুতর জখম হয়েছিলেন তিনি। তাঁর মৃতদেহের ডান হাতের তর্জনী ছিল না। মৃত্যুর পরেই তা কাটা হয়েছে। হামলার পর ইজ়রায়েলি সেনা সিনওয়ারের মৃতদেহ থেকে ওই আঙুল কেটে নিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষা করে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্যই আঙুল কাটা হয়।
৬১ বছরের হামাস নেতা সিনওয়ারের জন্ম হয়েছিল গাজ়ার খান ইউনিসের একটি শরণার্থী শিবিরে। প্রায় দু’দশক ইজ়রায়েলের জেলে বন্দি ছিলেন তিনি। ২০১১ সালে বন্দিমুক্তির চুক্তিতে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে ২০১৭ সালে হামাসের নেতা হিসাবে স্বীকৃতি পান সিনওয়ার। ওই সময়ে জেলে থাকা রেকর্ডের সঙ্গেও সিনওয়ারের আঙুলের নমুনা মিলিয়ে দেখা হয়েছে। তার পরে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে নিশ্চিত করা হয়েছে হামাস প্রধানের মৃত্যু সংবাদ।
সিনওয়ারের মৃত্যুর পর নেতৃত্বসঙ্কট তৈরি হয়েছে হামাসের অন্দরে। এক জন রাজনৈতিক নেতার সন্ধান করছে তারা, যিনি গাজ়ার বাইরে থেকে সংগঠন পরিচালনা করতে পারবেন।