ফাইল চিত্র।
পেগাসাস কাণ্ডের জেরে ইজ়রায়েলি সং স্থা এনএসও-র দফতরে তল্লাশি চালাল সে দেশের বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা। আজ এক টুইটে এ কথা জানিয়েছে ইজ়রায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
এনএসও-র তৈরি পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে সাংবাদিক, রাজনীতিক, সমাজকর্মী এমনকি সেনা কর্তা, গোয়েন্দা কর্তাদের উপরে অবৈধ নজরদারি চালানোর অভিযোগ উঠেছে ভারত-সহ বেশ কয়েকটি দেশে। পেগাসাস সংক্রান্ত ফাঁস হওয়া একটি তথ্যভান্ডার নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে বিশ্বের ১৬টি সংবাদমাধ্যম। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। এনএসও-র পাল্টা দাবি, ওই তথ্যভান্ডারের সঙ্গে তাদের কোনও সম্পর্ক নেই। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠলে তারা নিজেরাই তদন্ত করে দেখবে।
বিভিন্ন দেশে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করতে মন্ত্রী পর্যায়ের দল তৈরি করেছে ইজ়রায়েলের বেনেট সরকার। আজ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক টুইটে জানায়, অভিযোগের তদন্ত করতে কয়েকটি সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এনএসও-র দফতরে গিয়েছেন। কোন কোন সংস্থার প্রতিনিধিরা গিয়েছেন তা স্পষ্ট করেনি বেনেট সরকার।
ইজ়রায়েলি সংবাদমাধ্যমের দাবি, তেল আভিভের কাছে হারজ়লিয়ায় এনএসও-র দফতরকে নিশানা করেছেন ইজ়রায়েলি গোয়েন্দারা। তবে আজ কেবল এনএসও-র প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছেন তাঁরা। ওই সংস্থার সিস্টেম ও নথিপত্র খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়নি।
তল্লাশির কথা স্বীকার করেছে এনএসও-ও। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের প্রতিনিধিরা তাদের দফতরে এসেছিলেন। এনএসও ইজ়রায়েলি সরকারের সঙ্গে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছে। সংবাদমাধ্যমে সংস্থার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা যে মিথ্যে, সে কথা এই তদন্তেই প্রমাণিত হবে বলে তাদের আশা।
পেগাসাস সংক্রান্ত অভিযোগকে ইজ়রায়েল যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে বলে আজ ফ্রান্সকে জানিয়েছেন ইজ়রায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গ্যান্টজ। ওই স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাকরঁ-সহ ফ্রান্সের বেশ কয়েক জন শীর্ষ কর্তার ফোনে নজরদারির অভিযোগ উঠেছে মরক্কোর গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে আগেই ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনেটের সঙ্গে কথা বলেছিলেন মাকরঁ। আজ ফরাসি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লির সঙ্গে কথোপকথনের সময়ে গ্যান্টজ জানান, ইজ়রায়েল কেবল সন্ত্রাস ও অপরাধ দমনের জন্য তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত পণ্য বা পরিষেবা রফতানির অনুমতি দেয়। এ দিন এনএসও দফতরে তল্লাশির কথাও পার্লিকে জানান গ্যান্টজ।