গাজ়ায় ইজ়রায়েলি পণবন্দিরা। ছবি: রয়টার্স।
গাজ়া ভূখণ্ডে হামাস যোদ্ধাদের হাতে এখনও পণবন্দি হয়ে আছেন অন্তত ২০৩ জন ইজ়রায়েলি নাগরিক। বৃহস্পতিবার ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকার এই দাবি করেছে। তবে ওই পণবন্দিদের মধ্যে কত জন সাধারণ ইজ়রায়েলি নাগরিক, কত জনই বা সেনা সদস্য, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি তেল আভিভ।
গত ৭ অক্টোবর রকেট হানা এবং প্যারাগ্লাইডারে চড়ে ইজ়রায়েল ভূখণ্ডে হামলার পাশাপাশি, স্থলপথেও অনুপ্রবেশ করেছিল হামাস বাহিনী। গাজ়া সীমান্তে ইজ়রায়েলের তৈরি ইস্পাতের ‘দি গ্রেট স্মার্ট ফেন্স’ ভেঙে ঢুকে পড়ে কয়েকশো ইজরায়েলিকে বন্দি করেন হামাস যোদ্ধারা। তাঁদের এখন গাজ়ার ভূগর্ভস্থ কোনও সুড়ঙ্গে আটকে রাখা হয়েছে বলে মনে করছে ইজ়রায়েল সেনা। আর তাঁদের মুক্ত করার যুক্তি দেখিয়েই স্থলপথে গাজ়া ভূখণ্ডে অভিযান শুরুর প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে ইজ়রায়েলি সেনা।
গত মঙ্গলবার রাতে গাজ়ার আল-আহলি আল-আরবি হাসপাতালে হামলায় প্রায় ৫০০ প্যালেস্তিনীয় নাগরিকের মৃত্যুর পরেও ইজ়রায়েলি সেনার বিমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিরাম পড়েনি। সেই সঙ্গে চলছে সীমান্ত সংঘর্ষও। তেল আভিভের হুমকির জেরে ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন ৩৬৫ বর্গ কিলোমিটার ভূখণ্ডের ২৩ লক্ষ বাসিন্দার অর্ধেকের বেশি। বৃহস্পতিবার ইজ়রায়েল সেনা জানিয়েছে হামাসের বেশ কিছু পরিকাঠামো তারা ধ্বংস করেছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে ইজ়রায়েল সেনার সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন সশস্ত্র প্যালেস্তিনীয় সংগঠন ‘পপুলার রেজিস্ট্যান্স কমিটি’র কমান্ডার রাফত আবু হিলাল। হামাস এবং প্যালেস্তিনিয়ান ইসলামিক জিহাদ (পিআইজে)-পরেই গাজ়ার তৃতীয় বৃহত্তম সংগঠন ‘পপুলার রেজিস্ট্যান্স কমিটি’। এ বার গাজ়ার লড়াইয়ে তাদের ‘ভূমিকাও’ সামনে এল। প্রসঙ্গত, হামাসের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, ইজ়রায়েলি বিমানহানায় ১৩ জন পণবন্দি নিহত হয়েছেন। বিক পণবন্দিদের মুক্তির জন্য হামাসের তরফে গাজ়ায় হামলা বন্ধ এবং ইজ়রায়েলের জেলে বন্দি প্যালেস্তিনীয়দের মুক্তির শর্ত দেওয়া হয়েছে, নেতানিয়াহু সরকার তা খারিজ করেছে।