হামাসের ডেরায় ঢুকে হামলা ইজ়রায়েল সেনার। ছবি: রয়টার্স।
ওয়ান গান্ড ডাউন! গো..গো..গো..
ওয়ান মোর! অল ক্লিয়ার!
ঠিক যেন কোনও হলিউডি ছবির দৃশ্য। তবে এই দৃশ্য রুপোলি পর্দার নয়, বাস্তবে এই দৃশ্য ধরা পড়ল গাজ়া সীমান্ত সংলগ্ন সুফা আউটপোস্টে। সেখানেই হামাস বাহিনীর বাঙ্কারে ঢুকে পড়েছিল ইজ়রায়েল সেনার ‘শায়িটেট ১৩’ ইউনিট। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর বাঙ্কার থেকে অপহৃত ২৫০ বন্দিকে উদ্ধার করে ইজ়রায়েলের এই এলিট বাহিনী। শুধু তাই-ই নয়, হামাসের ৬০ সদস্যকে খতমও করেছে তারা।
সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে একটি বহুতলের মধ্যে ঢুকে পড়েছে এক দল সেনা। পজ়িশন নিয়ে এগোতে দেখা যাচ্ছে তাঁদের। তার মধ্যেই বাঙ্কার লক্ষ্য করে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি ছুটে যাচ্ছে। পাল্টা গুলিও উড়ে আসছে। সরাসরি এই দৃশ্য দেখে মনে হতে পারে যুদ্ধ নিয়ে হলিউডের কোনও ছবি। কিন্তু এ যুদ্ধ বাস্তবের। এ যুদ্ধ ইজ়রায়েলের সঙ্গে হামাসের। প্যালেস্তাইনেই এই সশস্ত্র বাহিনীর হাতে বন্দি ইজ়রায়েলের বহু নাগরিক।
ইজ়রায়েলি সেনার দাবি, সুফা আউটপোস্টের কাছে বাঙ্কারে অভিযান চালিয়ে বন্দিদের মুক্তির পাশাপাশি, হামাস বাহিনীর বহু সদস্যকে খতম করেছে তারা। ২৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের মধ্যে হামাসের সাদার্ন নেভাল ডিভিশনের ডেপুটি কমান্ডার মহম্মদ আবু আলি রয়েছেন। বাঙ্কার ঢুকে ইজ়রায়েলি সেনারা একের পর এক ঘরে তল্লাশি চালায়। সেই সময় তাদের লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু গুলি ছুটে আসে। পাল্টা জবাব দেয় ‘শায়িটেট ১৩’ ইউনিটও।
ইতিমধ্যেই ইজ়রায়েল হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যত দিন না তাদের নাগরিকদের মুক্তি দেওয়া হবে, তত দিন গাজ়াকে অবরুদ্ধ করে রাখা হবে। আগেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল। তার পর জ্বালানি তেল। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে জলের সরবরাহও। আর তার পরই ইজ়রায়েল হুঁশিয়ারি দিয়েছে, হামাস যদি অপহৃতদের মুক্তি না দেয়, তা হলে এক ফোঁটা জলের জন্যও এ বার ছটফট করতে হবে। হামাসের সঙ্গে ইজ়রায়েলের সংঘর্ষ সপ্তম দিনে পড়েছে শুক্রবার। ইতিমধ্যেই তিন হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে।