ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের উপস্থিতিতে চুক্তি স্বাক্ষর করছেন দু’দেশের আধিকারিকরা। ছবি: রয়টার্স।
রাশিয়ার কাছ থেকে কি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা পাচ্ছে ভারত? অনিশ্চয়তা রয়ে গেল। ভারতের ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিল এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ নামে এই রুশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা কেনার সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী মোদীর রাশিয়া সফরের আগেই। প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দও করা হয়েছিল সেই খাতে। কিন্তু রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ নিয়ে দু’দেশের মধ্যে চুক্তির বিষয়ে কোনও কথা বললেন না মোদী। বললেন না না পুতিনও।
এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ হল ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে আকাশপথে হওয়া হামলা রুখে দেওয়ার ব্যবস্থা। প্রতিপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন বা যুদ্ধবিমান দেশের আকাশসীমায় ঢুকলে ৪০০ কিলোমিটার দূর থেকেই তাকে রুখে দিতে সক্ষম এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ ব্যবস্থা। এক সঙ্গে ৩৬টি টার্গেটে হামলা চালাতে পারে এস-৪০০ ট্রায়াম্ফের একটি ইউনিট। ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে ট্রায়াম্ফ-এর পাঁচটি ইউনিট কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার কথা ছিল মোদী-পুতিন বৈঠকে। বৈঠক শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী রুশ রাষ্ট্রপতি দু’দেশের মধ্যে হওয়া অন্যান্য চুক্তির বিষয়ে উল্লেখ করলেও, ট্রায়াম্ফ নিয়ে কোনও চুক্তির কথা তাঁরা জানাননি। এস-৪০০ ট্রায়াম্ফের দর নিয়ে দু’দেশ একমত হতে পারেনি বলে একাংশের মত। তবে ঠিক কী কারণে এই প্রত্যাশিত চুক্তি নিয়ে ভারত-রাশিয়া কোনও বিবৃতি দিল না, তা আন্তর্জাতিক মহলের কাছে স্পষ্ট নয়। চুক্তি কি হয়নি? নাকি অন্য কোনও কারণে সে বিষয়ে বিবৃতি দেওয়া থেকে বিরত থাকলেন মোদী-পুতিন? স্পষ্ট নয় আন্তর্জাতিক মহলের কাছে।
আরও পড়ুন:
এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ পেলে কী লাভ হবে ভারতের?
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে পরমাণু শক্তি ক্ষেত্রে চুক্তি হয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশে একটি নতুন নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট তৈরি করবে রাশিয়া। জানানো হয়েছে মোদী পুতিন বৈঠকের পরে। রাশিয়া ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুর কুডানকুলামে একটি পরমাণু চুল্লি তৈরি করেছে। অন্ধ্রপ্রদেশের নিউক্লিয়ার প্ল্যান্টটি হতে চলেছে ভারত-রুশ উদ্যোগের দ্বিতীয় পরমাণু প্রকল্প। এ ছাড়া ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কামোভ ২২৬ হেলিকপ্টার তৈরির বিষয়েও চুক্তিবদ্ধ হয়েছে দু’দেশ। ভারতে রেল পরিকাঠামোর আধুনিকীকরণেও অংশ নিতে চলেছে রাশিয়া।