মার্কিন হানার প্রতিবাদে বাগদাদে বিক্ষোভ। ছবি: পিটিআই
মার্কিন ড্রোন হানায় সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলেমানি হত্যার বদলা নিতে পর পর হামলা করেই চলেছে ইরান। মঙ্গলবার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরের দিনই বাগদাদে রকেট হামলা চালাল তেহরান। বুধবার বাগদাদের গ্রিন জোন এলাকায় দু’টি রকেট বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে এই হামলায় হতাহতের কোনও খবর নেই।
বাগদাদের গ্রিন জোনেই মার্কিন দূতাবাস-সহ পাশ্চাত্যের অনেক দেশেরই দূতাবাস ও ব্যবসায়িক কেন্দ্র রয়েছে। বুধবার মধ্যরাতে সেই গ্রিন জোনেই পর পর দু’টি রকেট বিস্ফোরণের শব্দ পান স্থানীয়রা। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, হামলার পরেই নিরাপত্তা বাহিনীর সাইরেন বাজানো হয়। গোটা এলাকা কার্যত নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়।
মঙ্গলবারই ইরাকে সেনা ঘাঁটিতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। ওই ঘাঁটিতে আমেরিকা-সহ একাধিক দেশের যৌথ সেনাবাহিনী রয়েছে। ইরানের ওই হামলায় কেউ হতাহত হননি বলে দাবি করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে বুধবারের রকেট হামলা নিয়ে হোয়াইট হাউস এখনও কোনও মন্তব্য করেনি।
গত শুক্রবার বাগদাদ বিমাবন্দরের কাছে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলেমানি। তার পর থেকেই কার্যত ফুঁসছে ইরান। ওই মার্কিন হামলাতেই নিহত হয়েছিলেন ইরাকের কমান্ডার আবু মাহদি আল মুহান্দিস। মুহান্দিস ইরাকের সশস্ত্র বাহিনী হাশেদ আল শাবি-র প্রধান ছিলেন। কিন্তু এই বাহিনীর সঙ্গে ইরানের সমঝোতা ছিল। তাই এই বাহিনী এবং মুহান্দিসের অনুগামীরাও বদলার হুমকি দিয়ে রেখেছে। ফলে আরও হামলার আশঙ্কা রয়েছে বলেই মনে করছে কূটনৈতিক মহল।