জাভা সাগরে ভেঙে পড়ল লায়ন এয়ারের বিমান, মৃত ১৮৯

গ্রেটার জাকার্তার সোয়েকার্নো-হাট্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ২০ নাগাদ উড়েছিল বিমানটি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

জাকার্তা শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:৩৬
Share:

ভাসছে তেল, ভেসে উঠতে দেখা গেল যাত্রীর ওয়ালেটও। সোমবার ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা প্রদেশে। ছবি: এএফপি।

মাত্র ১৩ মিনিটের পথ। তার পরেই রেডার থেকে উধাও বিমান।

Advertisement

কিছু ক্ষণের মধ্যে জানা যায়, জাভা সাগরে ভেঙে পড়েছে লায়ন এয়ার-এর বিমান জে টি ৬১০। যার প্রধান চালক ছিলেন ভারতীয়। গ্রেটার জাকার্তার সোয়েকার্নো-হাট্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ২০ নাগাদ উড়েছিল বিমানটি। আকাশ ছিল পরিষ্কার। এক ঘণ্টার মধ্যেই ইন্দোনেশিয়ার বাঙ্কা দ্বীপের পাংকাল পিনাং-এ পৌঁছনোর কথা ছিল। তবে গন্তব্য ছোঁয়া আর হয়নি। ১৩ মিনিট পরেই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-র সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ১৮৯ জনের বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স ৮-এর।

দেশের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের প্রধান সুটোপো পুরো নুগ্রহ জানিয়েছেন, রানওয়ে ছাড়ার পরে ১৯ কিলোমিটার পথ উড়ানের পরেই ফিরে আসার জন্য এটিসি-র কাছে অনুরোধ জানিয়েছিল জে টি ৬১০। কিন্তু বিমান কী ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে, তার ইঙ্গিত আসেনি বলে দাবি এয়ারন্যাভ ইন্দোনেশিয়ার। এই সংস্থা দেশের উড়ান-পথে নজরদারির দায়িত্বে রয়েছে। ওই অনুরোধের কিছু ক্ষণের মধ্যেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এটিসি-র সঙ্গে।

Advertisement

বিমানের ধ্বংসস্তূপ এবং যাত্রীদের দেহের খোঁজে তল্লাশি দিনভর। ছবি: রয়টার্স।

পরে কিছু ওয়েবসাইটের ফ্লাইট ডেটায় ধরা পড়েছে, বিমানটি ফেরার পথ ধরতেই পারেনি। যে উচ্চতায় ওড়ার কথা, দুম করে তার চেয়ে অনেক নীচে গিয়ে সেটি ভেঙে পড়ে জাভা সাগরে। ৯৮-১১৫ ফুট গভীরে তলিয়ে যায়। বেশ কিছু ক্ষণ পরে জলে ভেসে ওঠে হেডফোন, লাইফ ভেস্ট আর দেহাংশ। ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা গিয়েছে, দুর্ঘটনাস্থল জুড়ে ভাসছে তেল।

ইন্দোনেশিয়ার ‘ন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সি’ জানিয়েছে, বিমানে ১৮১ যাত্রীর মধ্যে তিন জন শিশুও ছিল। দু’জন চালকের সঙ্গে ছিলেন ছ’জন কর্মী। প্রধান চালক, ভারতীয় ভব্য সুনেজার ৬ হাজার ঘণ্টা ওড়ার অভিজ্ঞতা ছিল। আর সহকারী চালক হারভিনোর ছিল ৫ হাজার ঘণ্টার অভিজ্ঞতা। বিমানে ছিলেন ইন্দোনেশিয়ার অর্থ মন্ত্রকের ২০ জন আধিকারিক। পরিবারের সঙ্গে সপ্তাহান্তের ছুটি কাটিয়ে ফিরছিলেন তাঁরা। ছিলেন এক ইটালীয়। বিপর্যয় দফতরের প্রাথমিক ধারণা, কেউই আর বেঁচে নেই। এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে ছ’টি দেহ।

জাভা সাগরে ১৫০ নটিক্যাল মাইল জুড়ে তল্লাশি অভিযান চলছে। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে যে ব্ল্যাক বক্স (ককপিট ভয়েস রেকর্ডার এবং ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার) প্রয়োজন, এখনও খোঁজ মেলেনি সেটির। ছোট নৌকা আর হেলিকপ্টার নিয়ে ২৫০ উদ্ধারকর্মী নেমেছেন উদ্ধারকাজে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement