ইন্দোনেশিয়ার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সূত্রে খবর, জোরালো ভূমিকম্পে ১৫টি বাড়ি, ২টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছবি: এএফপি।
এক বার বা দু’বার নয়। পর পর চার চার কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া। স্থানীয় সময় ভোর ৩টে ১৭ মিনিটে জোরালো কম্পন অনুভূত হয়। ইউরোপিয়ান মেডিটেরানিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৭।
ইএমএসসি আরও জানিয়েছে, মঙ্গলবার ভোরে ইন্দোনেশিয়ার তানিমবার এলাকা ভয়ানক ভাবে কেঁপে ওঠে। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৯৭ কিলোমিটার গভীরে ছিল কম্পনের উৎসস্থল। ৩-৫ সেকেন্ড জোরালো কম্পন অনুভূত হয় প্রথম বার। তার আরও চার বার কম্পন হয়। এই সময় কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৫।
৩০টি দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে ইন্দোনেশিয়ার তানিমবার দ্বীপপুঞ্জ। ইন্দোনেশিয়ার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সূত্রে খবর, জোরালো ভূমিকম্পে ১৫টি বাড়ি, ২টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহত হয়েছেন এক ব্যক্তি। তবে সম্পূর্ণ ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পাওয়া যায়নি বলে দাবি বাহিনীর।
শুধু ইন্দোনেশিয়া নয়, ডারউইন-সহ অস্ট্রেলিয়ার উত্তর ভাগেও এই কম্পন অনুভূত হয়েছে। সেখানে সুনামি সতর্কতাও জারি করা হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় সময় সকাল পৌনে ৬টা নাগাদ সেই সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়েছে। ডারউইনে চার মিনিট মতো কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে দাবি সেখানকার বাসিন্দাদের। বড়সড় ভূমিকম্প হতে পারে, সঙ্গে সুনামির আশঙ্কাও রয়েছে। ভানুয়াতুতে ভূমিকম্প হওয়ার পরই এমনই সতর্কবার্তা দিয়েছিল আমেরিকা। ভানুয়াতুতে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.২। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভয়ঙ্কর ভাবে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া।
গত নভেম্বরেই মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল ইন্দোনেশিয়ার জনবহুল প্রদেশ পশ্চিম জাভায়। ৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল সেই কম্পনে। বহু মানুষ গৃহহীন হয়েছিলেন।