ইব্রাহিম রইসির শপথ অনুষ্ঠানে যাবেন জয়শঙ্কর। —ফাইল চিত্র।
ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে বৃহস্পতিবার শপথ নিলেন ইব্রাহিম রইসি। আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি এবং ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর-সহ বহু বিদেশি অভ্যাগত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ১০টি দেশের রাষ্ট্রনায়ক, ১১টি দেশের বিদেশমন্ত্রী এবং ১০টি দেশের অন্যান্য মন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন।
কালই ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল, ইরানের আমন্ত্রণ পেয়ে জয়শঙ্কর শপথ অনুষ্ঠানে যাবেন। তার পরে প্রেসিডেন্ট রইসি এবং অন্যান্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। গত মাসেও মস্কো যাওয়ার পথে তেহরানে থেমেছিলেন জয়শঙ্কর। প্রধানমন্ত্রী মোদীর বার্তা নিয়ে দেখা করেন রইসির সঙ্গে। তখনই তাঁকে শপথ অনুষ্ঠানে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রইসি।
ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতোল্লা খামেনেইয়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রইসি জুন মাসে বিপুল ভোটে জয়ী হন। ভারত যে অন্য কোনও মন্ত্রীকে না পাঠিয়ে খোদ বিদেশমন্ত্রীকেই তেহরান পাঠাল, তার মধ্য দিয়ে রইসির সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার বার্তা রয়েছে বলেই কূটনৈতিক মহলের ধারণা। চাবাহার বন্দরে ভারতের সক্রিয়তা, আমেরিকার চাপে ইরান থেকে ভারতের তেল আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়া, কাশ্মীর নিয়ে ইরানের বিরূপ মন্তব্য ইত্যাদি প্রশ্নে ভারত-ইরান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সব দিকই এই আলোচনায় উঠে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আফগানিস্তান থেকে আমেরিকান সেনা প্রত্যাহার এবং তালিবানের বাড়বাড়ন্তের পরিপ্রেক্ষিতেও জয়শঙ্করের এই ইরান সফর বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। আফগান প্রেসিডেন্ট নিজেও তেহরানে উপস্থিত রয়েছেন। রাতে ওমানের অর্থমন্ত্রী এবং বলিভিয়ার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে নিজের ছবি টুইট করেন জয়শঙ্কর।