ব্রিটেনে অভিবাসীদের সংখ্যায় অন্যান্য দেশকে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছে ভারতীয়েরা। ছবি: সংগৃহীত।
সপ্তাহখানেক আগেই দেশের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক পদে এক ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে স্বাগত জানিয়েছে ব্রিটেন। এই আবহেই নজর কাড়ল ২০২১ সালের জনগণনায় উঠে আসা ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয়দের নিয়ে এক বিশেষ তথ্য। সম্প্রতি প্রকাশিত সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্রিটেনে অভিবাসীদের সংখ্যায় অন্যান্য দেশকে অনেকটাই পিছনে ফেলে দিয়েছে ভারতীয়েরা। বর্তমানে ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয়ের সংখ্যা ৯,২০,০০০। যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ১.৫%।
এই ৯ লক্ষ ২০ হাজারের তালিকায় শুধু তাঁদের নামই রয়েছে যাঁদের জন্ম ভারতে কিন্তু এখন তাঁরা ব্রিটেনে বাস করছেন। যদিও ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক এই তালিকায় পড়ছেন না। কারণ তাঁর জন্ম ব্রিটেনেই। তবে সুনকের স্ত্রী অক্ষতা মূর্তির নাম রয়েছে এই তালিকায়।
২০২১-এর এই জনগণনায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস-এ প্রত্যেক ছ’জনের মধ্যে এক জন এমন রয়েছেন যাঁর জন্ম ব্রিটেনের বাইরে। দেশের বাইরে জন্ম এমন ব্রিটেনবাসীর সংখ্যা ২০০১ সালে ছিল ৪৫ লক্ষের কিছু বেশি। তবে এখন তা এক কোটি পেরিয়ে গিয়েছে। এবং এর মধ্যে অধিকাংশই ভারতীয়। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পোল্যান্ড, তৃতীয়ে পাকিস্তান এবং চতুর্থে রোমানিয়া।
পরিস্থিতি এমন যে দেশের বেশ কয়েকটি বোরোয় ব্রিটেনে জন্ম হয়নি এমন বাসিন্দার সংখ্যা ৫০ শতাংশেরও বেশি। যেমন উত্তর পশ্চিম লন্ডনের ব্রেন্ট। সেখানকার ৫৬.১% বাসিন্দাই এসেছেন বাইরে থেকে! এই অঞ্চলেও প্রচুর ভারতীয়ের বাস। পাশাপাশি পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফ্রিকা এবং ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকে আসা বহু মানুষের ঠিকানাও এই বোরো। তা ছাড়া, ওয়েস্টমিনস্টার এবং হ্যারোয় বসবাসকারীদের মধ্যে যথাক্রমে ৫৫.৬% এবং ৫১.১% ব্রিটেনের আদি বাসিন্দা নন। এর পর তালিকায় নাম রয়েছে কেনসিংটন, চেলসি, নিউহ্যামের।
গত বেশ কয়েক বছর ধরে ব্রিটেনে অভিবাসীর সংখ্যা যে বেড়েই চলেছে তা এক প্রকার স্পষ্ট হয়ে গেল ২০২১ সালের জনগণনার এই রিপোর্টে। যা শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সময় থেকেই সরব কনজ়ারভেটিভ দল।
যদিও তাদের আঙুল বিশেষত জলপথে অবৈধ ভাবে প্রবেশ করা অভিবাসী, উদ্বাস্তু এবং আশ্রয়প্রার্থীদের দিকে। যে সংখ্যা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী ব্রিটেনে। বর্তমানে সুনক সরকারের কাছেও যা প্রধান চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে অন্যতম।