ফাইল চিত্র।
লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চিনের সঙ্গে সংঘর্ষের পরেই ভারতীয় নৌসেনা বড় পদক্ষেপ করেছিল বলে আজ সরকারি সূত্রে দাবি করা হয়েছে। অন্য দিকে এ দিন ফের চিন নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে বিঁধেছে কংগ্রেস।
সরকারি সূত্রে খবর, গালওয়ান সংঘর্ষের পরেই দক্ষিণ চিন সাগরে একটি যুদ্ধজাহাজ পাঠায় ভারত। ওই সাগরের অধিকাংশ অংশই নিজেদের বলে দাবি করে বেজিং। সেখানে অন্য দেশের যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি নিয়েও আপত্তি রয়েছে তাদের। কিন্তু মার্কিন নৌসেনা সেখানে বেশ কয়েকটি জাহাজ মোতায়েন রেখেছে।
সরকারি সূত্রে খবর, ভারতীয় যুদ্ধজাহাজটি মার্কিন নৌসেনার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। এই কৌশলের ফলও মেলে। কূটনৈতিক স্তরে ওই জাহাজের উপস্থিতি নিয়ে আপত্তি জানায় চিন।
সরকারি সূত্রের খবর, আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে মালাক্কা প্রণালী ও যে পথ দিয়ে চিনা নৌসেনার জাহাজ ভারত মহাসাগরে ঢোকে সেখানেও যুদ্ধজাহাজ পাঠানো হয়েছিল। নৌসেনা সূত্রের দাবি, মালাক্কা প্রণালীতে চিনা নৌসেনার উপরে নজরদারির জন্য শীঘ্রই স্বয়ংক্রিয় ডুবোজাহাজ এবং বেশ কিছু সেন্সর মোতায়েন করবে দিল্লি।
এ দিকে সিকিম সীমান্তের ডোকা লা ও নাকু লা-র দুটি উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ করে এ দিন চিন প্রসঙ্গে সরকারকে ফের বিঁধেছে কংগ্রেস। দলীয় মুখপাত্র গৌরব গগৈয়ের বক্তব্য, ওই দুটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে ডোকা লা ও নাকু লা-র কাছে ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি তৈরি করেছে চিন। গৌরবের কথায়, ‘‘এটা বিপজ্জনক। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই সরকারকে চিনা বিস্তারবাদের বিপদ সম্পর্কে সচেতন করে আসছি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে নীরব। এটা দুর্ভাগ্যজনক। কারণ যে কোনও বিপদের মোকাবিলা করার শক্তি ও বুদ্ধি ভারতবাসীর আছে।’’
গৌরবের বক্তব্য, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী যে কোনও ধরনের বিপদের মোকাবিলা করতে সক্ষম। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর প্রতিরক্ষা ও বিদেশ মন্ত্রক কেবল প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি রক্ষা করতেই ব্যস্ত। ফলে ভারতীয় বাহিনীর শক্তিকে খাটো করা হচ্ছে।
কংগ্রেস মুখপাত্রের বক্তব্য, ‘‘সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লাদাখে কেন এত বাহিনী মোতায়েন হয়েছে, সে প্রশ্নের উপযুক্ত জবাব দিতে পারেননি
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এই সরকার কেবল মিথ্যের উপরে নির্ভর করে চলছে। চিনকে কৌশলগত ভাবে ধাক্কা দেওয়ার বদলে ফাঁপা বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে। সরকারকে বলছি, এখন কাজ করার সময়।’’