লন্ডন হাই কমিশনের বাইরে প্রতিবাদীরা। ছবি: টুইটার
কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ঢেউ আরও একবার আছড়ে পড়ল ব্রিটেনে। মঙ্গলবার লন্ডনে ভারতীয় হাই কমিশনের বাইরে কেন্দ্রের কাশ্মীর ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখালেন একদল প্রবাসী ভারতীয়। বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটে দূতাবাসের কাচ ভাঙল।
হাই কমিশনের তরফে টুইটারে এই ঘটনার কথা জানানো হয়েছে। লেখা হয়েছে, ‘৩ সেপ্টেম্বর আরও একটি সহিংস প্রতিবাদের ঘটনা ঘটল লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনে। এই প্রতিবাদের ফলে হাইকমিশনের অফিসের ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে।’
এই নিয়ে কাশ্মীর ইস্যুতে দ্বিতীয় বার প্রতিবাদ হল হাই কমিশনের সামনে। প্রতিবাদীরা প্রথম জমায়েত করেছিলেন ভারতের স্বাধীনতা দিবসের দিনে। হাই কমিশন বিল্ডিংয়ে সেই বারও ডিম, পাথর ছোড়ে বিক্ষুব্ধ প্রবাসী ভারতীয়রা। পুলিশ চার জনকে আটক করেছিল ১৫ অগস্টের ঘটনায়।
আরও পড়ুন:কি সাহস! ডাকাতের বন্দুকের নলের মুখেও শান্ত ভাবে ধূমপান
আরও পড়ুন:শিখদের ভিসায় দরাজ ইমরান
লন্ডনের মেয়র সাদিক খান এ দিন গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনিও টুইটারে লিখেছেন, ‘এই ঘটনা অপ্রত্যাশিত। প্রতিবাদীদের আচরণের তীব্র নিন্দা করছি আমি। ব্রিটেনের পুলিশকে আমি যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আমি অনুরোধ করেছি।’
দেখুন ভিডিয়ো:
মঙ্গলবার লন্ডনের পার্লামেন্টেও বিষয়টি ওঠে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদ শৈলেশ লক্ষ্মণ ভারা প্রথম অধিবেশনে এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘‘হিংসা কখনওই কাম্য নয়। আমাদের দেশে তো নয়ই, অন্য দেশেও কোনও বিশেষ গোষ্ঠীর ওপর আক্রমণ সমর্থনযোগ্য নয়। আপাতত আমাদের লক্ষ্য ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দুই দেশের মধ্যে কথাবার্তার মাধ্যমে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হবে বলে বিশ্বাস করি।’’ ব্রিটেনের বিরোধী দলনেতা তথা লেবার পার্টির সাংসদ লিয়াম বায়ার্ন আবার মঙ্গলবারের এই প্রতিবাদকে সমর্থন করছেন সরাসরি। তিনি একটি অনলাইন পিটিশন জমা করার ব্যবস্থা চালু করেছেন। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, ‘‘হাজার মানুষ আজ ব্রিটেনের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করল। এই প্রতিবাদ ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি বার্তা, কাশ্মীর নিয়ে মানুষের মুখ বন্ধ রাখা যাবে না। ’’