সাংহাইয়ের এক হাসপাতালে। ছবি: রয়াটার্স।
চিকিৎসক হিসেবে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের পাশে থাকাটাই জরুরি মনে করেছেন তিনি। তাই কোনও দ্বিধা না-করেই মায়ের ‘দেশে ফেরার’ ডাকও হেলায় ফিরিয়ে দিয়েছেন চিনে কর্মরত ভারতীয় চিকিৎসক অমিশ ব্যাস। ছেলে তাঁর ‘কথা না-শোনায়’ মোটেই অভিমানী নন মা, বরং গর্বিত। মা ও ছেলের বক্তব্যের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। যাকে কুর্নিশ করছেন নেট নাগরিকেরা।
২০১৪ সাল থেকে চিনে রয়েছেন প্লাস্টিক সার্জেন অমিশ। তাঁর বাড়ি মধ্যপ্রদেশের রতলামে। বর্তমানে স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব চিনের হাংঝউ প্রদেশে থাকেন অমিশ। মারণ ভাইরাস চিনের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে আপাতত হাংঝউয়ের একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে কাজ করছেন ওই ভারতীয় চিকিৎসক। মাস্ক পরা অমিশের ছবিও দেখা গিয়েছে ভিডিয়োয়।
চিনে করোনাভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুমিছিলের খবর জানেন অমিশের মা। ছেলে ও তাঁর পরিবারের চিন্তায় ঘুম গিয়েছে তাঁর। ফোনে তিনি অমিশকে পত্রপাঠ দেশে ফিরতে বলেছিলেন। কিন্তু অমিশ জানিয়ে দিয়েছেন, এত রোগীকে ফেলে ভারতে ফেরা সম্ভব নয়। অমিশ ভিডিয়ো বার্তায় বলেছেন, ‘‘এক জন চিকিৎসক হিসেবে আমার ভয় পাওয়া উচিত নয়। বরং রোগের সঙ্গে লড়াই করে রোগীদের পাশে থাকাটাই একান্ত কর্তব্য।’’ ছেলের সিদ্ধান্তে গর্বিত অমিশ-জননী। সংবাদমাধ্যমকে জানান, ফোন আর ভিডিয়ো কলে ছেলে, বৌমা, নাতনির সঙ্গে কথা হচ্ছে তাঁর। অমিশ অনুরোধ ফেরালেও তাঁর মনে কোনও দুঃখ নেই।