নতুন বিলে কী, সিঁটিয়ে ভারতের কল সেন্টার

ব্রাউন চাইছেন, যে সমস্ত সংস্থা আমেরিকার পাট চুকিয়ে ভারত, মেক্সিকো, মিশর, সৌদি আরব বা চিনের মতো দেশে ব্যবসা করে চলেছে, তাদের নাম প্রকাশ্য তালিকাভুক্ত করা হোক।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০১৮ ০৩:২৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

ধরা যাক, মার্কিন কোনও সংস্থার কল সেন্টারটা ভারতে। বেশির ভাগ কর্মীই ভারতীয়। তবে উপভোক্তারা ও-দেশের। এ বার প্রশ্ন হল, কোনও মার্কিন উপভোক্তা কি কল সেন্টারের কর্মীর কাছে জানতে চাইতে পারেন যে, তিনি কোথা থেকে বলছেন? আর তা জানার পরে যদি ওই কর্মী যদি ভারতীয় বলে তাঁর পছন্দ না হয়! তখন তিনি কি তাঁর কল আমেরিকার হেড অফিসে ট্রান্সফার করার কথা বলতে পারেন? সাধারণত পারেন না। কিন্তু অচিরেই এমনটা যাতে সম্ভব হয়, তেমনই আইন আসতে পারে আমেরিকায়। হোয়াই হাউস সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত বিলটি কংগ্রেসে পেশ করেছেন ওহায়োর ডেমোক্র্যাট সেনেটর শেরড ব্রাউন।

Advertisement

ব্রাউন চাইছেন, যে সমস্ত সংস্থা আমেরিকার পাট চুকিয়ে ভারত, মেক্সিকো, মিশর, সৌদি আরব বা চিনের মতো দেশে ব্যবসা করে চলেছে, তাদের নাম প্রকাশ্য তালিকাভুক্ত করা হোক। আর যারা এমনটা করেনি, তাদের আরও েবশি করে সরকারি বরাত দেওয়া হোক। উদ্দেশ্য একটাই, মার্কিন সংস্থায় আরও বেশি মার্কিন কর্মী নিয়োগ।

এই বিল কংগ্রেসের সমর্থন পাবে কি না, তা এখনও অনিশ্চিত। কূটনীতিকদের একাংশ বলছেন, খুব সম্ভবত এই বিলটি নিয়েও বেঁকে বসতে পারে কংগ্রেসের একাংশ। তবু গোড়াতেই এ নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন মার্কিন কল সেন্টারের ভারতীয় কর্মীরা। ডোনাল্ড ট্রাম্প যেহেতু প্রেসি়ডেন্ট হওয়ার আগে থেকেই ভারত-চিনের মতো দেশ থেকে আউটসোর্সিং বন্ধ করার পক্ষে সুর চড়িয়ে আসছেন, তাই এই আশঙ্কা অমূলক নয় বলে মনে করছেন মার্কিন কূটনীতিকদেরই একাংশ। ডেমোক্র্যাট সেনেটরের উপস্থাপন করা বিলে তাই সায় দিতেই পারে রিপাবলিকানরা।

Advertisement

সমীক্ষা বলছে, এই মুহূর্তে মার্কিন সংস্থার সব চেয়ে বেশি কল সেন্টার ভারত ও ফিলিপিন্সে। অপেক্ষাকৃত সস্তায় কর্মী পাওয়া সম্ভব বলেই এই দুটি দেশ মার্কিন সংস্থাগুলির সব চেয়ে বেশি পছন্দ বলে মনে করা হয়।

এ দিকে মার্কিন প্রশাসনের এইচ১বি ভিসা নীতি ঘিরেও ক্ষোভ বাড়ছে ভারতীয় কর্মীদের। কর্মসংস্থান নিজেদের দেশে ধরে রাখতে এ ক্ষেত্রেও বাড়তি গেরো চাপাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। এপ্রিল থেকে এই ভিসার জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। চলবে এক মাস। নয়া ভিসা নীতির পক্ষে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিপুল প্রচারও শুরু হয়েছে সান ফ্রান্সিসকো এবং ক্যালিফোর্নিয়ার মেট্রো স্টেশনে। সেই বিজ্ঞাপনে দাবি তোলা হয়েছে, এইচ১বি ভিসার ‘অপব্যবহার’ ঠেকিয়ে আরও বেশি মার্কিন কর্মী নিয়োগ করতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement