সফর: মুক্তিনাথ দর্শনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শনিবার নেপালে। ছবি: পিটিআই।
উন্নয়নের বেসক্যাম্প থেকে নেপালকে এভারেস্টের চুড়োয় পৌঁছে দিতে শেরপার ভূমিকা পালন করবে ভারত। দু’দিনের নেপাল সফরের শেষ দিনে, এক নাগরিক সভায় এ কথা ঘোষণা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে মোদী এ দিন আসর মাতিয়ে বলেন, যুদ্ধ থেকে বুদ্ধ, বুলেটে থেকে ব্যালট— লম্বা পথ হেঁটে এসেছে নেপাল। ‘‘কিন্তু গন্তব্য আরও দূরে। আরও অনেক পথ যেতে হবে।’’ তার পরেই পর্বতারোহণের সঙ্গে তুলনা টেনে মোদী যোগ করেন, ‘‘আপনারা এভারেস্টের বেসক্যাম্প অবধি এসেছেন। আসল আরোহণ এখনও বাকি। শৃঙ্গে পৌঁছতে শেরপারা যে ভাবে আরোহীদের সাহায্য করেন, ভারত সেই ভাবে নেপালের জন্য শেরপার ভূমিকা পালন করবে।’’
মোদীর এই বার্তা ভারত-নেপাল সম্পর্কের এই পর্বে বিশেষ তাৎপর্যের। কারণ চিন যে ভাবে ইদানীং নেপালে প্রভাব বিস্তার করতে উদ্যত হয়েছে, তাতে চিন্তায় ছিল ভারত। কিছু দিন আগে নেপালের প্রধানমন্ত্রী সে পি শর্মা ওলি ভারতে ঘুরে যান। তার পরেই মোদী এলেন। কূটনৈতিক দিক থেকে এই সফর ফলপ্রসূ হয়েছে বলেই মনে করছে ভারত। বিদেশসচিব বিজয় কেশব গোখলে এ দিন বলেন, পরপর এই দুই সফর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে খুবই সদর্থক দিকে এগিয়ে নিয়ে গেল। তাঁর দাবি, ওলি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, নেপালের মাটি কখনওই ভারত-বিরোধী কাজে ব্যবহার হবে না। মোদী এ দিন পশুপতিনাথ এবং মুক্তিনাথ মন্দির দর্শন করেন। নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড এবং শের বাহাদুর দেউবার সঙ্গেও দেখা করেন।