ছবি: সংগৃহীত।
আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ পথে ইউক্রেন সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত বলে মনে করে ভারত। ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়া এবং আমেরিকার নেতৃত্বাধীন পশ্চিমী দেশগুলির যে সংঘাত
শুরু হয়েছে, তা নিয়ে এই প্রথম বিবৃতি দিল নয়াদিল্লি। ইউক্রেন সীমান্তের জটিলতা নিয়ে আমেরিকা এবং রাশিয়ার মধ্যে টানাপড়েন অব্যাহত। রাষ্ট্রপুঞ্জে আমেরিকা সম্প্রতি অভিযোগ করেছে, এই বিষয়ে রাশিয়া রীতিমতো ‘হুমকি’ দিচ্ছে। মস্কো যদিও জানিয়ে দিয়েছে, তারা যুদ্ধ চায় না। কিন্তু তাদের স্বার্থ বিঘ্নিত হলে, তারা বসে থাকবে না।
আজ ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের সাপ্তাহিক সাংবাদিক বৈঠকে ইউক্রেন নিয়ে ভারতের অবস্থান জানতে প্রশ্ন করা হয়েছিল। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, ‘‘ইউক্রেনের বিষয় নিয়ে ঘটনাক্রমের উপর আমরা নজর রাখছি। এ নিয়ে রাশিয়া এবং আমেরিকার মধ্যে যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে সে দিকেও আমাদের নজর রয়েছে। কিভে আমাদের দূতবাসও স্থানীয় বিষয়গুলি দেখছে। ভারতের অবস্থান হল, কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধান হোক। ওই অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকুক।’’
দিন দু’য়েক আগে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জেন সাকি জানিয়েছিলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে উত্তেজনা কমাতে ভারত যদি সদর্থক ভূমিকা পালন করে, তা হলে আমেরিকা তাকে স্বাগত জানাবে।
সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তে সেনা ও সমরাস্ত্র মোতায়েন বাড়িয়েছে রাশিয়া। এই নিয়ে গত কাল রাষ্ট্রপুঞ্জে সরব হয়েছিল আমেরিকা। রাষ্ট্রপুঞ্জে নিযুক্ত আমেরিকার দূত লিন্ডা টমাস-গ্রিনফিল্ড বলেন, ‘‘ইউক্রেন সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। সামরিক শক্তির সাহায্যে ইউক্রেনের স্থিতাবস্থায় তারা বিঘ্ন ঘটাতে চায়। রাশিয়ার এই পদক্ষেপে কার্যত হুমকির মুখে পড়ছে আন্তর্জাতিক শান্তি এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদ।’’
রাশিয়ার সরকার অবশ্য আমেরিকার বক্তব্যকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছে না। সে দেশের বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেছেন, ‘‘আমরা যুদ্ধ চাই না। কিন্তু আমাদের স্বার্থকে যদি কেউ পদদলিত করে, তা হলে আমরাও চুপ করে থাকব না।’’