প্রতীকী চিত্র।
বিশ্বের বহু দেশ করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কোন দেশের টিকা আগে ছাড়পত্র পাবে তা নিয়ে ঠান্ডা যুদ্ধও চলছে। কিন্তু অনুমোদন পাওয়ার পরেও সব দেশ কি সময়মতো এবং সাধ্যমতো দামে সেই টিকা পাবে? এই প্রশ্নেই বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)-র কাছে করোনার জন্য আন্তর্জাতিক ‘ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রাইট’ (আইপিআর) আইন কিছুটা শিথিল করার আর্জি জানিয়েছিল ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু তাতে বাধ সেধেছে ইউরোপ-আমেরিকা-সহ অধিকাংশ দেশ। ফলে করোনার টিকা আবিষ্কারের পরেও সব দেশ সময়মতো তা পাবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
ইউরোপ-আমেরিকার প্রায় সব দেশ যেমন প্রস্তাবের বিপক্ষে, তেমনই চিন, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, ইন্দোশিয়া, তুরস্কের মতো দেশ আবার বর্তমান যে আইন রয়েছে, তার পক্ষেই সায় দিয়েছে। তবে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। বিবৃতি দিয়ে হু-এর বক্তব্য, ‘করোনার টিকা, চিকিৎসা ও টেস্টের জন্য এবং সব দেশে সময়মতো ও ন্যায্য দামে যাতে পায় তার জন্য আইপিআর শিথিল করার জন্য ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা ডব্লিউটিও-কে যে প্রস্তাব দিয়েছে, তাকে স্বাগত।’ হু-এর পাশাপাশি ভারতের প্রস্তাবে সমর্থন করে দ্রুত প্রস্তাব গ্রহণের আর্জি জানিয়েছে কেনিয়া। এ বিষয়ে ডব্লিউটিও-র ‘ট্রিপস কাউন্সিল’ এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এ বছরের শেষের দিকে।
প্রস্তাবে ভারতের বক্তব্য, করোনার টেস্ট ও চিকিৎসা পদ্ধতি এবং টিকা তৈরির প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়েছে। কিন্তু সেগুলি কী ভাবে স্বল্প দামে এবং দ্রুত সব দেশে পৌঁছনো যাবে, সেটাই উদ্বেগের বিষয়। চিকিৎসা সামগ্রীর অভাবে করোনা আক্রান্ত আশঙ্কাজনক রোগীদের প্রাণ সংশয় তৈরি হয়েছে। বর্তমান নিয়মে বহু দেশই দ্রুত ও সহজলভ্য চিকিৎসা সামগ্রী পেতে বিরাট আইনি বাধার মুখে পড়বে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ও মৃত সর্বাধিক, উৎসবের মুখে জাঁকিয়ে বসছে করোনা আতঙ্ক
আরও পড়ুন: কোভিডে মৃত্যু ২ পুলিশ কর্মীর, সংক্রমণ বাঁচিয়ে পুজোর ভিড় সামলানো চ্যালেঞ্জ পুলিশের
প্রায় একই রকম প্রস্তাব দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাও বলেছে, ডব্লিউটিও-র সদস্যদের একযোগে কাজ করা উচিত। পেটেন্ট, শিল্পনীতি, কপিরাইট বা তথ্য গোপন রাখার মতো কোনও আইন যাতে কোনও দেশের পক্ষেই অন্তরায় না হয়ে দাঁড়ায় তার জন্য ডব্লিউটিও-র সব সদস্য দেশের একযোগে কাজ করা উচিত।