এনএসজি-তে ভারতের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি সোলে আয়োজিত প্লেনারি অধিবেশনের আলোচ্যসূচিতেই নেই। দাবি চিনের। সুষমা স্বরাজ রবিবার নয়াদিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছিলেন, চিন এনএসজিতে ভারতের অন্তর্ভুক্তির বিরোধী নয়। সে প্রসঙ্গে সোমবার চিনের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি ঠিকই। কিন্তু চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র সুষমার সাংবাদিক বৈঠকের ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই বুঝিয়ে দিলেন, ভারতের এনএসজি-আকাঙ্খা নিয়ে আপাতত কোনও আলোচনাতেই যেতে চাইছে না চিন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় রাজধানী সোলে আজ, সোমবারই শুরু হয়েছে নিউক্লিয়ার সাপ্লায়ার্স গ্রুপের প্লেনারি অধিবেশন। এ দিনই চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনয়িং সোমবার বলেছেন, ‘‘এনপিটি-তে স্বাক্ষর করেনি এমন কোনও দেশের এনএসজি-ভুক্তির বিষয় কোনও দিনই এই সংগঠনের প্লেনারি অধিবেশনের আলোচ্যসূচিতে থাকে না। এ বার সোলে যে অধিবেশন বসছে, তার আলোচ্যসূচিতেও এমন কোনও বিষয় নেই।’’
সুষমা রবিবার বলেছিলেন, ‘‘চিন ভারতের বিরোধিতা করছে না। কিছু পদ্ধতিগত বিষয়ের কথা বলছে।’’ তার পর দিনই যে ভাবে চিনের তরফে দাবি করা হল যে ভারতের অন্তর্ভুক্তির বিষয় নিয়ে কোনও আলোচনাই হবে না সোলে, তাকে সুষমা স্বরাজের বক্তব্যের পাল্টা হিসেবেই দেখছে কূটনীতিকদের একাংশ।
আরও পড়ুন:
ভারতের হয়ে জোর সওয়াল রাশিয়ার, আরও একা হয়ে পড়ল চিন
কূটনীতিকদের অন্য একটি অংশ অবশ্য একে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের ভারসাম্য রক্ষার কৌশল হিসেবে দেখতে চাইছে। তাঁদের মতে, ভারতীয় বিদেশ সচিবের প্রায় গোপন বেজিং সফর পাকিস্তানের মনে সংশয়ের জন্ম দিয়েছে। কিন্তু চিন নিজেদের সর্বক্ষণের মিত্র পাকিস্তানের সংশয় দূর করতে চায়। তাই সোলে বৈঠক শুরু যে দিন, সে দিনই চিনের তরফে এমন একটি মন্তব্য করা হল, যাতে মনে হয় যে চিন এখনও ভারতের এনএসজি-ভুক্তির পক্ষে নয়। তবে চিনা বিদেশ মন্ত্রক এমন কোনও মন্তব্যও করল না, যাকে সুষমা স্বরাজের মন্তব্যে সম্পূর্ণ বিপরীত বলে মনে হয়।