পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।—ফাইল চিত্র।
ভারতের উপরে চাপ সৃষ্টি করতে রাষ্ট্রপুঞ্জে কাশ্মীর নিয়ে ফের আলোচনা চায় চিন। তাদের অনুরোধে বুধবার নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে অন্য সদস্য দেশগুলির বাধায় তেমন বিশদে আলোচনা হয়নি বলেই কূটনৈতিক সূত্রে খবর। ফ্রান্স আগেই জানিয়েছিল, কাশ্মীর নিয়ে তারা পূর্ব অবস্থান বজায় রাখবে। এ বিষয়ে তাদের সাফ বক্তব্য, কাশ্মীর ভারত এবং পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়। তাই বিষয়টি তাদেরই মিটিয়ে নেওয়া উচিত। গত মাসে রাষ্ট্রপুঞ্জের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কাশ্মীর নিয়ে ভারতকে নাস্তানাবুদ করতে চেয়েছিল চিন। সে বার আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও রাশিয়া সেই প্রচেষ্টা রুখে দেয়।
কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের দূরত্ব যতই বাড়ুক না কেন, এ বছরের শেষে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আমন্ত্রণ জানাতে পারে ভারত। এ বছরের শেষে ভারতে আয়োজিত হতে চলেছে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন-এর (এসসিও) বার্ষিক সম্মেলন। তাতে যোগ দিতেই ইমরানকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা উঠে আসছে।
ইউরেশিয়া অঞ্চলের অর্থনীতি, রাজনীতি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে ২০০১ সালে সাংহাইয়ে এক সম্মেলনে এসসিও তৈরি হয়। ভারত প্রথমে পর্যবেক্ষক দেশ হিসেবে এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও ২০১৭ সালে স্থায়ী সদস্যের পদ লাভ করে। একই বছর সদস্য হয় পাকিস্তানও।
এ বছর প্রথম সেই এসসিও-র বার্ষিক সম্মেলন আয়োজন করতে চলেছে ভারত। রবিবার সেই সূত্রে চার দিনের সফরে দিল্লি পৌঁছেছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ভ্লাদিমির নরভ। সোমবার সে কথা টুইট করে জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ইমরানের ভারতে আসার প্রসঙ্গে প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেছেন, আয়োজক দেশ হিসেবে পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ করার কথা ভারতের। তাই রীতি মেনে তাঁকে আমন্ত্রণবার্তা পাঠানো হতে পারে। তবে ইমরান শেষ পর্যন্ত আসবেন কি না, তা ঠিক করবে ইসলামাবাদই। ইমরানের প্রতিনিধি হিসাবে বিদেশমন্ত্রীকেও পাঠাতে পারে তারা। তা ছাড়া পড়শি দেশের নাম পাকিস্তান। সম্মেলন হতে অনেক দেরি । ফলে তত দিনে ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক কোথায় দাঁড়াবে, এখনই বলতে পারছে না সাউথ ব্লক।