হাফিজ নিয়ে ভারতকে জবাব পাকিস্তানের

গত ৩১ জানুয়ারি হাফিজকে গৃহবন্দি করেছিল পাক সরকার। গত বুধবার তাকে মুক্তি দিয়েছে লাহৌর হাইকোর্টের বিচারবিভাগীয় বোর্ড। শুক্রবার লাহৌরের বাড়ি থেকে বাইরে পা দিয়েছেন এই জঙ্গি নেতা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইসলামাবাদ শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:৫১
Share:

জামাত প্রধান হাফিজ সইদ। ছবি: সংগৃহীত।

মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সইদ গৃহবন্দি দশা থেকে মুক্তি পাওয়ায় ক্ষুব্ধ ভারত। উদ্বিগ্ন আমেরিকাও। আজ সইদের গ্রেফতারি চেয়ে ফের বিবৃতি দিয়েছে ওয়াশিংটন। অবিলম্বে জামাত উদ দাওয়া প্রধানকে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। চাপের মুখে পড়ে শনিবার যুক্তি খাড়া করেছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ দাবি করেছে, সন্ত্রাসবাদীদের দমনে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ যে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে, তা প্রয়োগে পাকিস্তান বদ্ধপরিকর। কিন্তু পাকিস্তান আইনের শাসনও মেনে চলে।

Advertisement

গত ৩১ জানুয়ারি হাফিজকে গৃহবন্দি করেছিল পাক সরকার। গত বুধবার তাকে মুক্তি দিয়েছে লাহৌর হাইকোর্টের বিচারবিভাগীয় বোর্ড। শুক্রবার লাহৌরের বাড়ি থেকে বাইরে পা দিয়েছেন এই জঙ্গি নেতা। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রভিশ কুমার অভিযোগ করেছিলেন, ‘‘রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষিদ্ধ তালিকায় থাকা জঙ্গিদেরও দেশের মূলস্রোতে সামিল করার চেষ্টা করছে পাকিস্তান।’’ এরই উত্তরে শনিবার পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়জল বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের ১২৬৭ কমিটির নিষেধাজ্ঞা সব সময়েই কার্যকর করতে উদ্যোগী হয় পাকিস্তান। কিন্তু পাকিস্তানের আদালত আইন মেনে চলে। সেখানে রাজনীতির কোনও স্থান নেই।’’ ফয়জলের দাবি, অন্যান্য দেশেরও এই বিষয়টি মাথায় রেখেই মন্তব্য করা উচিত। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের মতো ক্ষতি অন্য কোনও দেশের হয়নি।

পাক বিদেশমন্ত্রী খাজা আসিফ আজ ফের খুঁচিয়ে তুলেছেন কাশ্মীর প্রসঙ্গ। সেই বিতর্কে টেনে এনেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জকেও। তাঁর দাবি, কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর অভিযানের ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মানসম্মান নষ্ট হচ্ছে। গোটা পরিবারের সম্মানে হাত দিচ্ছেন ভারতীয় জওয়ানেরা। তাঁর দাবি, নিরীহ মানুষের উপরে অত্যাচার করার জন্যই এমন অভিযান চালানো হচ্ছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত প্রস্তাব অনুযায়ী কাশ্মীর সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তান কাশ্মীরিদের পাশে থাকবে।

Advertisement

আজ তাকে ফের গ্রেফতার করার মার্কিন দাবির বিরুদ্ধে সাংবাদিক বৈঠক করার কথা ছিল সইদের। ওই জঙ্গি নেতার তরফে জানানো হয়েছে, ইসলামাবাদে মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের জেরে ওই সাংবাদিক বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে পাক সরকারি সূত্রে ইঙ্গিত, আন্তর্জাতিক চাপের ফলেই সইদকে সংবাদমাধ্যমের সামনে আসতে দিতে রাজি হয়নি পাক সেনা ও সরকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement