রাষ্ট্রপুঞ্জকে ভারতের উপহার সৌর প্যানেল

এর পাশাপাশি গাছগাছালি-সহ ‘গ্রিন রুফ’ও তৈরি করা হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:৫৭
Share:

—ফাইল চিত্র।

ভারতের উপহার দেওয়া সৌরচালিত প্যানেল বসল রাষ্ট্রপুঞ্জের নিউ ইয়র্কের সদর দফতরে। রাষ্ট্রপুঞ্জ টুইট করে জানিয়েছে, ৫০ কিলোওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম এই প্যানেলটি গোটা দফতরের বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে পারবে।

Advertisement

জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবিলায় পুনর্ব্যবহার যোগ্য শক্তির পক্ষে সওয়াল করে গত সেপ্টেম্বরেই রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের দূত সৈয়দ আকবরউদ্দিন জানান, ভারতের আর্থিক সহায়তায় রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরে সৌরপ্যানেল বসানো হবে। এর পাশাপাশি গাছগাছালি-সহ ‘গ্রিন রুফ’ও তৈরি করা হয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদর দফতরে। আন্তোনিয়ো গুতেরেস টুইট করেছেন, ‘‘ঘর থেকেই পরিবেশ রক্ষার কাজ শুরু হল। ভারত সরকার ও সে দেশের মানুষকে ধন্যবাদ।’’ এর জন্য খরচ হয়েছে ১০ লক্ষ ডলার।

সম্প্রতি রাশিয়া সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, ২০২২ সালের মধ্যে পুনর্ব্যবহারযোগ্য উৎসের মাধ্যমে (হাওয়া কল বা সৌরপ্যানেল) ১৭৫ গিগাওয়াট শক্তি উৎপাদন করার

Advertisement

লক্ষ্য নিয়েছে ভারত। বিশেষত সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর ব্যাপারে বিশেষ ভাবে উৎসাহী নয়াদিল্লি। তিনি জানিয়েছেন, সৌর-ব্যাটারি তৈরির কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হতে পারে ভারতকে। প্রধানমন্ত্রীর মতে, সৌরশক্তিকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হলে সৌর-ব্যাটারির চাহিদা বাড়বে।

সৌরশক্তি ব্যবহার নিয়ে মানুষকে উৎসাহী করতে ভারতে নানা রকম প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। যেমন, ছাদে সৌরপ্যানেল বসানোর জন্য যে কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে ১০ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। পিভি সিস্টেম বা ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর যে খরচ, তার ৩০ শতাংশ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। যদি কোনও বাড়িতে প্রয়োজনের তুলনায় বাড়তি সৌরশক্তি তৈরি হয় তা হলে তা বিক্রিও করে দেওয়া যাবে।

এর আগে পয়লা অগস্ট তানজ়ানিয়ায় রাষ্ট্রপুঞ্জের দফতরে সৌরপ্যানেল বসানো হয়। সেখানে ৬৯৬টি সৌরপ্যানেল ব্যবহার করে প্রচলিত শক্তিতে তৈরি বিদ্যুৎ ৭০ শতাংশ বাঁচানো সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। এপ্রিলে জর্জিয়ায় রাষ্ট্রপুঞ্জের দফতরে বসেছে ৩৬টি প্যানেল। যার সাহায্যে প্রচলিত শক্তিতে তৈরি বিদ্যুতের ২০ শতাংশের ব্যবহার কমানো সম্ভব হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement