ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফাইল চিত্র।
ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা একটা ‘ভয়ানক জায়গায়’ এসে দাঁড়িয়েছে। এবং চিন এই পরিস্থিতিকে আরও খারাপ জায়গায় নিয়ে যেতে পারে। শুক্রবার হোয়াইট হাউসে এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সীমান্ত নিয়ে দুই দেশের মধ্যে যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন, “ভারত ও চিন যদি মনে করে এ ব্যাপারে সাহায্যের প্রয়োজন, আমেরিকা তা করতে প্রস্তুত।” দু’দেশের সঙ্গে এ ব্যাপারেও কথা চালানো হচ্ছে বলেও ওই দিন জানিয়েছেন ট্রাম্প।
তবে এই প্রথম নয়, গালওয়ানে দু’দেশের সেনার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর গত জুনেও মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তখনও তিনি বলেছিলেন, “এই সমস্যা মেটাতে আমরা ভারত-চিনের সঙ্গে কথা বলছি। প্রয়োজনে মধ্যস্থতা করতেও রাজি।” এই পরিস্থিতির জন্য চিন দায়ী বলেও সে সময় মন্তব্য করেছিলেন ট্রাম্প।
পূর্ব লাদাখে ভারত ও চিনের মধ্যে পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় পরিস্থিতি যে ভয়াবহ সে কথা শুক্রবারই জানিয়েছেন ভারতের সেনা প্রধান এমএম নরবণে। তিনি বলেন, “প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা এখন উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে রয়েছে। সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে সেখানে প্রয়োজনীয় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।’’
আরও পড়ুন: সমুদ্রসংঘাত কি সময়ের অপেক্ষা?
সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ওই দিনই মস্কোতে চিনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওয়েই ফংহ-র সঙ্গে বৈঠকে বসেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নেয় মস্কো। কারণ, কূটনীতিকদের মতে, এশিয়ার দুই শক্তিশালী দেশ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ুক তা রাশিয়া কোনও ভাবেই চাইছে না।
তবে এই বৈঠকের আগেই চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সামনে রাজনাথ বুঝিয়ে দেন যে, লাদাখে চিনা সেনার আগ্রাসন ভারত ভাল ভাবে নেয়নি। সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলনে রাজনাথ বলেন, ‘‘বিশ্বাসের পরিবেশ, অনাগ্রাসন, পরস্পরের প্রতি সংবেদনশীলতা এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে মতপার্থক্য নিরসনের উপরেই আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিরতা নির্ভর করে।’’ সাউথ ব্লকের মতে, ভারত যে শান্তির পথে হেঁটে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতেই ইচ্ছুক, সেই অবস্থানই স্পষ্ট করে দিয়েছেন রাজনাথ।