ফাইল চিত্র।
আফগানিস্তান প্রশ্নে রাশিয়ার সঙ্গে সম্প্রতি মতপার্থক্য হয়েছে ভারতের। কিন্তু বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সাম্প্রতিক মস্কো সফর পুরোপুরি বৃথা যায়নি বলেই মনে করছে কূটনৈতিক শিবির। সূত্রের খবর, গত বার বাদ গেলেও এ বার আফগানিস্তানের চলতি অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে আসন্ন রাশিয়া-আমেরিকা-চিন-কাবুল বৈঠকে আমন্ত্রণ পেয়েছে দিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, এ ব্যাপারে যথেষ্ট দৌত্য রাশিয়া গিয়ে করে এসেছিলেন জয়শঙ্কর।
গত মার্চ মাসে এই বৈঠকটিতে বাইরের দেশ হিসেবে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পেয়েছিল পাকিস্তান। তখনই টনক নড়ে সাউথ ব্লকের। জানা গিয়েছে, এ বারেও পাকিস্তান থাকবে। কিন্তু তারা খালি জমি পাবে না। আমন্ত্রিত দেশ হিসেবে ভারত তালিবান হিংসা প্রসঙ্গে ইসলামাবাদের মদতের প্রসঙ্গ তুলবে।
আফগানিস্তান নীতি নির্ধারণের জন্য এই বৈঠকটি পরিচালনা করে থাকে মস্কো। আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ এবং তালিবানদের ভূমিকা নিয়ে এই আলোচনাটি গোটা পশ্চিম এশিয়ার জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মস্কো এ ব্যাপারে একটি আঞ্চলিক ঐকমত্য তৈরি করতে আগ্রহী। কূটনৈতিক সূত্রের মতে, তাদের মূল উদ্বেগ তালিবান সন্ত্রাস যাতে রাশিয়ায় না পৌঁছয়। সম্প্রতি তালিবানদের পক্ষ থেকে ইরান এবং রাশিয়াকে জানানো হয়েছে, আফগানিস্তানের হিংসার আঁচ সীমান্ত পার হয়ে অন্যত্র পৌঁছবে না। মস্কো সে দিকে সতর্ক নজর রাখতে চাইছে। আগ বাড়িয়ে সে দেশে ঢুকে তালিবানদের বিরুদ্ধে পদক্ষপ করার পক্ষপাতী যে তারা নয়, সে কথাও জয়শঙ্করকে জানিয়েছেন রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ।
অন্য দিকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় মধ্যে দিয়ে না গিয়ে হিংসার মাধ্যমে ক্ষমতায় আসাকে বৈধতা দিতে নারাজ ভারত। এমতাবস্থায় কাবুল সংক্রান্ত আসন্ন বৈঠকটিকে ঘিরে আগ্রহ তৈরি হয়েছে কূটনৈতিক শিবিরে।