ইমরান খান।—ছবি সংগৃহীত।
চিনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে দর কষাকষির মধ্যেই আমেরিকার সঙ্গে ‘টু প্লাস টু’ (বিদেশ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রক পর্যায়ে) বৈঠক হল আজ। করোনার জন্য ভিডিয়ো মাধ্যমে এই বৈঠকটি হল। উপস্থিত ছিলেন দু’দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের কর্তারা। গত বছর ডিসেম্বরে দু’দেশের মন্ত্রী পর্যায়ের এই বৈঠকটি হয়েছিল। তবে সে বারে মুখোমুখিই বসেছিলেন দু’দেশের শীষ কতার্রা। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ এবং উন্মুক্ত ব্যবহার নিয়ে এ বারে আলোচনা হয়েছে দু’দেশের।
দু’দেশের এই বৈঠকের আগে গত ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসদমনে ভারত-মার্কিন যুগ্ম ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকও হয়। সেখানে মুম্বই এবং পঠানকোটের হামলার মূল ষড়যন্ত্রীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ এবং সীমান্তপার সন্ত্রাস দমনে দ্রুত ও কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ফের ইসলামাবাদের উপর চাপ বাড়িয়েছে আমেরিকা ও ভারত। বৈঠকের পরে এক যৌথ বিবৃতিতে সন্ত্রাস নিয়ে পাকিস্তানকে সতর্ক করার পাশাপাশি সে দেশের মাটি যাতে জঙ্গি কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার না করা হয়, সে দিকে সতর্ক নজর রাখতে বলা হয়েছে।
বৈঠকে ভারতের তরফে উপস্থিত ছিলেন বিদেশ মন্ত্রকের সন্ত্রাস দমন শাখার যুগ্ম-সচিব মহাবীর সিঙ্ঘভি। আমেরিকার তরফে প্রতিনিধিত্ব করেন নাথান সেলস। বৈঠকে উঠে আসে ভারতের মাটিতে একাধিক জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গ। দু’দিনের বৈঠকের পরে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে ভারত-আমেরিকা স্পষ্ট জানিয়েছে, পাক-মাটি থেকে যে কোনও রকম সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম চলছে না, তা নিয়ে আশ্বস্ত করতে হবে পাকিস্তানকে। একই সঙ্গে যে সব জঙ্গি সংগঠনের নেতৃত্বে ২৬/১১-য় মুম্বই ও পরবর্তী পঠানকোটের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে হামলা হয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। দু’টি ঘটনাতেই পাক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা, হিজবুল মুজাহিদিন এবং জইশ-ই-মহম্মদের নাম জড়িয়েছে।