International News

আমেরিকায় পাকিস্তানের চেয়ে ভারতীয় লবি বেশি প্রভাবশালী, মন্তব্য ইমরানের

গত ৫ অগস্ট ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার পর থেকেই ভারত পাক সম্পর্কের উত্তেজনা বেড়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৭:৫১
Share:

পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। —ফাইল চিত্র

৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমল পায়নি পাকিস্তান। এমনকি, রাষ্ট্রপুঞ্জে তুলেও কোনও লাভ হয়নি। এ বার পাক প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি স্বীকারোক্ত, আমেরিকায় পাকিস্তানের চেয়ে দিল্লির লবি অনেক শক্তিশালী। সেই কারণেই ইসলামাবাদের সঙ্গে ওয়াশিংটনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও তার প্রভাব পড়ে। আমেরিকায় একটি অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করার পাশাপাশি ফের কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়া ও তার জন্য উপত্যকায় নিয়ন্ত্রণ এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধেও সরব হন ইমরান খান

Advertisement

উত্তর আমেরিকায় পাক বংশোদ্ভুত চিকিৎসকদের সংগঠন ‘ফিজিশিয়ান্স অব পাকিস্তানি ডিসেন্ট অব নর্থ আমেরিকা’ (আপনা)-র আয়োজনে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কিন্তু ওই অনুষ্ঠানও ভারত-পাক প্রসঙ্গ টেনে আনেন ইমরান। বলেন, ‘‘আমেরিকায় বর্তমানে পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের লবি বেশি শক্তিশালী। সেই কারণে নয়াদিল্লির অবস্থানের কাছে সব সময় ইসলামাবাদের মত চাপা পড়ে যায়। এবং তার প্রভাব পড়ে আমেরিকার পাকিস্তান নীতির উপর।’’

গত ৫ অগস্ট ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নেওয়ার পর থেকেই ভারত পাক সম্পর্কের উত্তেজনা বেড়েছে। আন্তর্জাতিক তথা দ্বিপাক্ষিক ইস্যুতে ভারত একা সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সরব হয়েছিল ইমরান খানের সরকার। এই ইস্যুতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও নিজেদের পক্ষে জনমত তৈরির চেষ্টা করে ইসলামবাদ। কিন্তু তাতে চিন ছাড়া কার্যত কাউকেই পাশে পাননি ইমরান। তবু এখনও আন্তর্জাতিক স্তরে যেখানেই যান, কার্যত সেখানেই নিজের ‘গোঁসা’ প্রকাশ করেন। এই অনুষ্ঠানেও জম্মু-কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণ জারির তীব্র সমালোচনা করেন ইমরান।

Advertisement

আবার সম্প্রতি ভারতে পাশ হয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। তার পর থেকেই দেশের অভ্যন্তরে ক্ষোভ-বিক্ষোভ দানা বেঁধেছে। এই ইস্যুতে কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে মোদী সরকার। এই প্রসঙ্গ টেনে ইমরান বলেন, অভ্যন্তরীণ সমস্যা থেকে নজর ঘোরাতে ফের পাক অধিকৃত কাশ্মীরে হামলা চালাতে পারে ভারত। বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক এবং তার আগে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন ইমরান। আবার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে তাঁর বক্তব্য, আন্তর্জাতিক মঞ্চ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলি নয়া এই নাগরিকত্ব আইন পাশ করার জন্য ভারতের সমালোচনা করছে। কিন্তু পাকিস্তানের কাছে সমস্যা একটাই, ইমরানের এই ‘অরণ্যে রোদন’ শোনার জন্য চিন ছাড়া আর তেমন কেউ নেই। কারণ সন্ত্রাস প্রশ্নে ইসালামবাদের বিরুদ্ধে এককাট্টা প্রায় সব দেশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement