সারি দিয়ে রাখা তিমির দেহ।
পৈশাচিক! সমুদ্রতটে সার দিয়ে সাজানো তিমি। রক্তাক্ত, ঠান্ডা। ধড়ে আর প্রাণ নেই তাদের। গ্লোবাল ওয়ার্মিং, বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশ সমস্যায় যখন টেনশনের পারদ চড়ছে বিজ্ঞানীদের, ঠিক সেই সময়েই শতাধিক তিমি মারল জাপান।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, সম্প্রতি ৩৩৩টি মাইক তিমি হত্যা করেছে জাপানের একটি মৎস্যজীবী সংস্থা। ওই সংস্থার একটি প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, জাপানের শিমোনোসেকি বন্দর থেকে পাঁচটি জাহাজ নিয়োগ করা হয়েছিল তিমি শিকারের কাজে। সংস্থার দাবি, কুমেরু সাগরের বাস্তুতন্ত্র সম্বন্ধে গবেষণা চালাতেই তিমি শিকার করা হয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে জাপানে তিমির মাংসের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। প্রচুর প্রোটিন সমৃদ্ধ এই মাংস সংরক্ষণ করে রাখার রেওয়াজও রয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। একটা সময় এর সুস্বাদু মাংসের জন্যই প্রচুর পরিমাণে তিমি শিকার করা হত জাপানে। ইন্টারন্যাশনাল হোয়েলিং কমিশন ১৯৮৬ সালে যা সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ করে দেয়। তা হলে কেন হঠাৎ এতগুলি নিরীহ প্রাণীকে মারা হল?
আরও পড়ুন: ঘণ্টায় ৭৪০০ কিমি-র নতুন ক্ষেপণাস্ত্র রাশিয়ার, উদ্বেগে গোটা পৃথিবীই!
তিমি শিকারের সময়
ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস জানাচ্ছে, বৈজ্ঞানিক গবেষণার আড়ালে আসলে মাংসের লোভেই মারা হয়েছে তিমিগুলিকে। টোকিওর তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কুমেরু সাগরে তিমির সংখ্যা অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছিল। তাই পরিবেশের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাপানের এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা করেছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড-সহ বিশ্বের একাধিক দেশ।
(ছবি: সংগৃহীত)