প্রতীকী চিত্র।
কাশ্মীর নিয়ে ওআইসি রাষ্ট্রগোষ্ঠীর বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠক ডাকার পরিকল্পনা করছে সৌদি আরব। আজ ইসলামাবাদে এক বৈঠকে সৌদি বিদেশমন্ত্রী ফয়সল বিন ফারহান পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশিকে এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বলে কূটনৈতিক সূত্রে খবর। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে অস্বস্তিতে পড়তে পারে দিল্লি।
সম্প্রতি মালয়েশিয়ার ডাকা মুসলিম দেশগুলির একটি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা শেষ মুহূর্তে বাতিল করে পাকিস্তান। কূটনৈতিক সূত্রে খবর, মালয়েশিয়া সৌদি নেতৃত্বাধীন ওআইসি-র বিকল্প একটি মুসলিম রাষ্ট্রগোষ্ঠী গড়ার পরিকল্পনা করছে বলে ধারণা রিয়াধের কর্তাদের। প্রবল আর্থিক সঙ্কটে পড়া পাকিস্তানের পাশে এখন দাঁড়িয়েছে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। কূটনৈতিক সূত্রে খবর, শেষ পর্যন্ত সৌদি চাপেই পাকিস্তান ওই সম্মেলন থেকে সরে দাঁড়ায়। তার বদলে পাকিস্তানকে পাশে থাকার বার্তা দিতে কাশ্মীর নিয়ে ওআইসি-র বৈঠক করতে উদ্যোগী হয়েছে রিয়াধ।
পাক বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এ দিন ‘কাশ্মীরের স্বার্থরক্ষায়’ ওআইসি কী ভাবে কাজ করতে পারে তা নিয়ে সৌদি বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন পাক বিদেশমন্ত্রী। ভারতের নয়া নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি নিয়েও আলোচনা হয়। এর পরে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গেও দেখা করেন সৌদি বিদেশমন্ত্রী। ইমরান তাঁকে জানান, কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখায় ক্রমাগত সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে উত্তেজনা বাড়াতে চাইছে ভারত।
ঐতিহাসিক ভাবে বরাবরই পাকিস্তানের মিত্র হিসেবে পরিচিত সৌদি। কিন্তু সম্প্রতি দিল্লি-রিয়াধ সম্পর্কে উষ্ণতা বেড়েছে। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ এবং নাগরিকত্ব আইন-এনআরসি প্রসঙ্গে এখনও দিল্লিকে কোনও কড়া বার্তা দেয়নি তারা। কিন্তু সম্প্রতি ওআইসি-র তরফে জানানো হয়, নাগরিকত্ব আইন ভারতের সংখ্যালঘুদের স্বার্থে আঘাত হানতে পারে। তাই বিষয়টির উপরে নজর রাখছে তারা। এর পরে সৌদি আরব কাশ্মীর প্রসঙ্গে ওআইসি-র বৈঠকের আয়োজন করলে তা কূটনৈতিক অস্বস্তিতে ফেলতে পারে ভারতকে। তবে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ইতিমধ্যেই মুসলিম বিশ্বকে নিজেদের অবস্থান জানানোর কাজ শুরু করেছে ভারত। সম্প্রতি ইরান সফরে গিয়ে সে দেশের সরকারের কাছে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।