পিটিআই সমর্থকদের ‘হাঙ্গামা’ নিয়ে অস্বস্তিতে ইমরান খান। ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানের শাসকজোট নয়, ইমরান খান এবং তাঁর দলের বিরুদ্ধে সরব হলেন স্বয়ং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। আলভি ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্যও বটে। তাই তাঁর সমালোচনায় অস্বস্তিতে ইমরানও।
পাকিস্তানের অগ্রণী সংবাদমাধ্যম জিও নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাক প্রেসিডেন্ট বলেন, “গত ৯ মে পিটিআই সমর্থকরা দেশের নানা প্রান্তে যে ভাবে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছিলেন, তার জন্য ইমরানের প্রকাশ্যে নিন্দা জানানো উচিত।”এর পাশাপাশি তিনি ওই ‘উগ্র’ সমর্থকদের কড়া শাস্তি দেওয়ার দাবিতেও সোচ্চার হয়েছেন। এত দিন এই একই সুরে ইমরান এবং তাঁর দলের সমালোচনা করছিলেন পাকিস্তানের শাসকজোটের নেতা এবং বিভিন্ন মন্ত্রী। পাকিস্তানের ‘কাপ্তান’ অবশ্য দাবি করেছিলেন যে, তাঁর সমর্থকদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে সেনা এবং সরকার। এ বার দলের ভিতর থেকেই ভিন্নসুর উঠে আসায় অস্বস্তি বাড়ল ইমরানের। কারণ এই আলভির সঙ্গেই যৌথভাবে পিটিআই গঠন করেছিলেন ইমরান।
সেনা দফতরে ঢুকে ইমরান খানের সমর্থকদের হামলা এবং তাণ্ডব চালানো নিয়ে বৃহস্পতিবারই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল অসীম মুনির। সিয়ালকোটের সেনাছাউনি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মুনির। সেখানেই নাম না করে ইমরানের সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমাদের শহিদ এবং স্মৃতিসৌধকে অসম্মান করার কারও অধিকার নেই। এরাই পাক সেনাবাহিনীর, দেশবাসীর অনুপ্রেরণা, গর্ব। এগুলির অসম্মান কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।”
আল কাদির ট্রাস্ট মামলায় দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গত ৯ মে ইসলামাবাদ হাই কোর্ট চত্বর থেকে গ্রেফতার করে পাকিস্তান রেঞ্জার্স। ইমরানের গ্রেফতারের পর গোটা দেশে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ইমরানের মুক্তির দাবিতে নানান জায়গায় বিক্ষোভ দেখান তাঁর দলের সমর্থকরা। দেশের নানা প্রান্তে তাণ্ডব এবং ভাঙচুরের মতো ঘটনা, এমনকি পুলিশের সঙ্গেও ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। শুধু তাই-ই নয়, পাক সেনার সদর দফতরেও হামলা চালানো হয়। সেনাদের শহিদ স্মৃতিসৌধ ভাঙচুর করা হয়। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এই হামলা প্রসঙ্গে পাক সেনাপ্রধানের দাবি, এটি পুরোপুরি পরিকল্পিত একটি ঘটনা।