নওয়াজ শরিফের সঙ্গে সাক্ষাতের সম্ভাবনা বাতিল করে দিলেন পাক বিরোধী দল ‘তেহরিক-ই-ইনসাফ’-এর নেতা ইমরান খান। বৃহস্পতিবার সকালে ইমরান এক জন প্রতিনিধি পাঠিয়ে শরিফকে জানিয়ে দেন, কোনও আলোচনা চান না তিনি। শরিফ পদত্যাগ না করা পর্যন্ত তাঁর দলের বিক্ষোভ চলবেই।
ইমরান দেখা না করলেও নওয়াজ শরিফ অবশ্য এ দিন সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে তাহির-উল কাদরির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তবে কাদরিও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, পদত্যাগ ছাড়া অন্য কিছু মানতে রাজি নন তিনি।
২০১৩ সালে ৩৪২টির মধ্যে ১৯০টি আসন পায় নওয়াজ শরিফের দল। ইমরান খানের দল পায় ৩৪টি আসন। তখনই অভিযোগ ওঠে, কারচুপি করে জিতেছেন নওয়াজ। দাবি ওঠে পুনর্নির্বাচনের।
সেই দাবিতেই গত বৃহস্পতিবার লাহৌর থেকে ‘আজাদি মিছিল’ শুরু করেন ইমরান খান। তাঁর সঙ্গে যোগ দেন পাকিস্তান আওয়ামি তেহরিক (পিএটি) দলের নেতা মৌলবি তাহির-উল কাদরিও। শনিবার ইসলামাবাদে পৌঁছে বিভিন্ন জায়গায় ধর্নায় বসেন ইমরান এবং কাদরির হাজার হাজার সমর্থক। শরিফের পদত্যাগের দাবি তুলে তাঁরা জানান, নতুন করে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশিত না হলে ধর্না ছেড়ে উঠবেন না। বুধবারের মধ্যে শরিফ পদত্যাগ না করলে দলবল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকে পড়ার হুমকিও দিয়েছিলেন ইমরান।
দু’দিন আগেই কয়েক হাজার সমর্থক নিয়ে ইসলামাবাদের ‘রেড জোন’-এ ঢুকে পড়েন ইমরান। চরম সুরক্ষায় মোড়া এই রেড জোনেই রয়েছে পার্লামেন্ট, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন, বিভিন্ন দূতাবাস।
ইমরানের সঙ্গে রয়েছেন কাদরিও। বুধবার থেকেই পার্লামেন্ট ঘেরাও শুরু হয়েছে।
আজ নওয়াজ শরিফ ইমরানের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছিল শরিফের ঘনিষ্ঠ শিবির। ২০১৩ সালের নির্বাচনের ফলাফলের বিস্তারিত হিসেবও ইমরানকে তিনি দেখাবেন বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু আজ সে সাক্ষাৎ বাতিল করে অবস্থান থেকে না সরার কথা জানালেন ইমরান। কয়েক হাজার বিক্ষোভকারীর প্রতি ইমরানের বার্তা, “আমি আজই আপনাদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ঢুকে পড়তাম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ‘হৃদয়’ বিশেষ ভাল নয়। আমাদের বিক্ষোভের কারণে তাঁর হৃদ্রোগ হোক, তা আমি চাই না।”