রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটাতে শরিফ-সরকারের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসতে রাজি ইমরান-কাদরিরা। এ বার মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় পাকিস্তানের অন্য বিরোধী দলগুলি।
দক্ষিণ-পন্থী জামাত-ই-ইসলামি-র প্রধান সিরাজুল হকের নেতৃত্বে এমপি-দের এক প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার গভীর রাতে বৈঠক করেন ইমরান খান এবং মৌলবি তাহির উল কাদরির সঙ্গে। সঙ্কট কাটাতে পার্লামেন্টের তরফে জরুরি ভিত্তিতে যে কোনও পদক্ষেপ করার প্রতিশ্রুতিও দেন তাঁরা। বৈঠক শেষে সিরাজুল জানান, ইমরান এবং কাদরি দু’জনেই আলোচনায় রাজি। আশা করা যায়, আগামী ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্বাভাবিক হয়ে যাবে পরিস্থিতি।
প্রতিনিধি দলের মধ্যে পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা রেহমান মালিকও ছিলেন। পরে তিনি বলেন, “ইমরান ও কাদরিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। সমর্থকদের ভিড়ের মধ্যেও আমাদের সঙ্গে দেখা করেছেন ওঁরা।”
শনিবার বিক্ষোভকারীদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ এবং কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার তীব্র নিন্দা করেন মালিক। বলেন, “সরকারকে অনুরোধ জানাব আলোচনায় অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তকে যেন কোনও ভাবেই বিক্ষোভকারীদের দুর্বলতা হিসেবে না দেখা হয়।” সেই সঙ্গেই শরিফ-সরকারের কাছে তাঁর আর্জি, ইমরান ও কাদরির সমর্থকদের আটক করা বন্ধ হোক অবিলম্বে।
ইমরান খানের দলের তরফে সহ-সভাপতি শাহ মেহমুদ জানিয়েছেন, গণতন্ত্রের স্বার্থেই আলোচনার ডাক দিয়েছেন সিরাজুলরা। এর আগে গত সপ্তাহে পাক সেনার মধ্যস্থতায় এক বার মুখোমুখি হয়েছিল দু’পক্ষ। কিন্তু বৈঠক ফলপ্রসূ না হওয়ায় বিক্ষোভ জারি থাকে। এ দিনই ইমরানের দলের এমপি-দের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন শরিফ-সমর্থকেরা। নওয়াজের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভের শুরু এবং তা ঘিরে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনায় একে অপরকে দোষ দেন তাঁরা। এমপি-রা ক্ষোভে পদত্যাগপত্রও জমা দেন বলে খবর। তবে তা গৃহীত হয়নি।
এ দিকে মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র জেন সাকি বলেন, “পাক-সরকার ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে আলোচনা-প্রক্রিয়ায় কোনও ভাবেই জড়াচ্ছে না আমেরিকা।” তিনি আরও বলেন, “আমেরিকা চায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই উদ্ভূত সমস্যার
সমাধানে যৌথ পদক্ষেপ করুক দু’পক্ষ।”