এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলেরও অভিযোগ রয়েছে ওসির বিরুদ্ধে। সংগৃহীত ছবি।
আট তলার অট্টালিকা। তৈরি করাচ্ছেন আরও একটি ডুপ্লে। হাতে রয়েছে বিপুল সম্পত্তি। দুর্নীতি করেই এত সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ। আয়-বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগে আতসকাচের তলায় খোদ ওসি!
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা থানার ওসি মণিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন মাসের মধ্যে ওসির বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
‘প্রথম আলো’র একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয় যে, ঢাকার ওই ওসির আট তলা বাড়ি রয়েছে। কেরানিগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জেও ওসির সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে। এমনকি, মোহাম্মদপুর হাউজিং সোস্যাইটিতে এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলেরও অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতি করেই ওই ওসি আয়-বহির্ভূত সম্পত্তি করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তে নেমে ওসির যে পরিমাণ সম্পত্তির হদিস পাওয়া গিয়েছে, বাস্তবে তার থেকেও নাকি বেশি সম্পত্তি রয়েছে। জানা গিয়েছে, ১৯৯২ সালে প্রথমে এসআই (সাব ইনস্পেক্টর) পদে যোগ দিয়েছিলেন মণিরুল। ২০১২ সালে ইনস্পেক্টর হন। ওসি হয়েও কী ভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলেন মণিরুল, এ নিয়ে ‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন উল্লেখ করে তদন্তের আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সাইদুল হক। সেই মামলার শুনানিতেই তদন্ত তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে রবিবার নির্দেশ দিল আদালত।