হিমশৈলটি চ্যাসম-১ নামে একটি বৃহৎ হিমবাহের টুকরো মাত্র। প্রতীকী ছবি।
আন্টার্কটিকার সারি সারি বরফের চূড়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দূরে ভেসে গেল লন্ডন শহরের থেকেও বড় আকারের হিমশৈল। বিশালাকার ওই হিমশৈল ভেসে যাওয়ার ছবি এবং ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই গবেষকদের হাতে উঠে এসেছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে ওই হিমশৈলটি মূল হিমবাহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বর্তমানে সেটি উৎপত্তিস্থল থেকে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে ভাসছে। শক্তিশালী আন্টার্কটিক উপকূলীয় স্রোত এটিকে ধাক্কা মারার কারণে এটি ঘুরতে ঘুরতে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। বিজ্ঞানীরা এই হিমশৈলটির নাম দিয়েছেন এ-৮১।
বিজ্ঞানীদের দাবি, এ-৮১-এর আকার প্রায় ১৫৫০ বর্গ কিলোমিটার। অর্থাৎ, লন্ডন শহরের থেকেও বড়। যে হিমশৈলে ধাক্কা খেয়ে টাইটানিক ডুবে গিয়েছিল, তার উচ্চতা ছিল ১০০ ফুট। চওড়ায় ৪০০ ফুট। এ-৮১ আয়তনে তার থেকে হাজার গুণ বড়।
শক্তিশালী স্রোতের কারণে এটি ক্রমশই ওয়েডেল সাগরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। এই হিমশৈল ওয়েডেল সাগরের মধ্য দিয়ে আরও উত্তরে দক্ষিণ অতলান্তিকের দিকে প্রবাহিত হতে থাকবে বলেও ধারণা বিজ্ঞানীদের। গবেষণা সেরে ফেরার পথে ‘ব্রিটিশ অ্যান্টার্কটিক সার্ভে (বিএএস)’-র গবেষকরা এই হিমশৈলের ভিডিয়ো ক্যামেরাবন্দি করেন এবং পরে প্রকাশ্যে আনেন।
গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, হিমশৈলটি চ্যাসম-১ নামে একটি বৃহৎ হিমবাহের টুকরো মাত্র।