রিপাবলিকান পার্টির ন্যাশনাল কনভেনশনে ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার। ছবি: রয়টার্স।
পাশে ঈশ্বর ছিলেন। তাই আততায়ীর গুলি প্রাণ কেড়ে নিতে পারেনি তাঁর। পেনসিলেভেনিয়ার সেই ঘটনার পর প্রথম বক্তৃতা করতে উঠে এমনটাই জানালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার রিপাবলিকান পার্টির ন্যাশনাল কনভেনশনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসাবে ট্রাম্পের নামে চূড়ান্ত সিলমোহর পড়ে। নিজের নির্বাচনী সাফল্যের বিষয়ে প্রত্যয়ী ট্রাম্প নিজের বক্তৃতার শুরুতেই বলেন, “আজ থেকে চার মাস পরে আমরা একটি অতুলনীয় জয় পেতে চলেছি।” তার পরেই ঈশ্বরের প্রসঙ্গ তোলেন আমেরিকার প্রাক্তন এই প্রেসিডেন্ট।
ডান কানে ব্যান্ডেজ বেঁধেই মঞ্চে বক্তৃতা করতে ওঠেন ট্রাম্প। বলেন, “আমি ভীষণ নিরাপদ বোধ করছিলাম। কারণ, আমার পাশে ঈশ্বর ছিলেন।” রিপাবলিকান দলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে ট্রাম্পের সংযোজন, “যদি আমি আমার মাথাটা না ঘোরাতাম, তা হলে আততায়ীর ছোড়া বুলেট নির্ভুল লক্ষ্যে আঘাত হানত। আর আমিও আজ রাতে আপনাদের সঙ্গে থাকতে পারতাম না।”
প্রসঙ্গত, পেনসিলভেনিয়ার প্রচারসভায় দেশের অভিবাসন সংক্রান্ত সমস্যা তুলে ধরতে সমর্থকদের সামনে একটি তালিকা তুলে ধরে দেখাচ্ছিলেন ট্রাম্প। আর এই তালিকা দেখানোর সময়েই মাথা ডান দিকে ঝোঁকান তিনি। ২০ বছরের আততায়ীর ছোড়া গুলি ট্রাম্পের ডান কানকে রক্তাক্ত করে ছুটে বেরিয়ে যায়।
দ্বিতীয় বার প্রেসিডেন্ট হয়ে কী ভাবে যুক্তরাষ্ট্র পরিচালনা করবেন, বৃহস্পতিবার তার ইঙ্গিতও দিয়েছেন ট্রাম্প। জানিয়েছেন, তিনি অর্ধেক আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে চান না, গোটা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতে চান। আততায়ী ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর পর সমাজমাধ্যমে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী গোটা আমেরিকাকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দেন। মনে করা হচ্ছে, সেই সূত্র ধরেই এ বার ‘গোটা আমেরিকার’ প্রেসিডেন্ট হওয়ার কথা জানালেন ট্রাম্প।