প্রতীকী ছবি।
পর পর দু’টি ভয়াবহ বিস্ফোরণ কাবুল বিমানবন্দরে। সেই সঙ্গে বিমানবন্দর চত্বরে এলোপাথাড়ি গুলিবৃষ্টি ঘিরে তুমুল উত্তেজনা। বিমানবন্দরের অ্যাবি গেটের কাছে প্রথম আত্মঘাতী বিস্ফোরণের ঠিক কিছু ক্ষণ পরই ওই গেট থেকে কিছুটা দূরে আরও একটি বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ব্যারন হোটেল সংলগ্ন এলাকা। বিস্ফোরণ ও এলোপাথাড়ি গুলি-চালনার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত শিশু-সহ ১৩ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। আহত হয়েছেন তিন আমেরিকান সেনা ও বেশ কয়েক জন তালিবান সেনা।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, আত্মঘাতী বিস্ফোরণের পর বিমানবন্দরে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে আরম্ভ করে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। বিমানবন্দর চত্বরে আমেরিকার সেনাদের ঘিরে থাকা যে এলাকায় আফগানিস্তান ছাড়তে চেয়ে ভিড় জমিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ, সেথানেই বিষ্ফোরণ ঘটনা হয় বলে খবর মিলেছে।
৩১ অগস্টের আগে বিমানবন্দরে চলছে বিভিন্ন দলের উদ্ধারকারী দলের তৎপরতা। সূত্রের খবর, ইতালির উদ্ধারকারী বিমান লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আহত হয়েছে বহু মানুষ। পেন্টাগনের প্রেস সচিব জন কিরবি টুইটে জানিয়েছেন বিস্ফোরণের কথা।
শুধু কাবুল বিমানবন্দরই নয়, শহরের কয়েকটি জায়গায় বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। ক’দিন আগেই বিমানবন্দর উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল আইএস। বিস্ফোরণের পিছনে তাদেরই হাত রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।